বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে হলে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের আজ অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখাতেই হতো। তবে মুস্তাফিজুর রহমানের ব্যাক টু ব্যাক ৫ উইকেট শিকারে ৩১৫ পর্যন্তই যেতে পারল পাকিস্তান। আর ক্রিকেটের মক্কা লর্ডসে ৫ উইকেট নিয়ে গৌরবময় অনার্স বোর্ডে নাম লেখালেন 'দ্য ফিজ'।
লর্ডসে আজ টস জিতে অনুমেয়ভাবেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। না নিলে যে ওখানেই সেমিফাইনালের আশাটা ফেলে আসতে হতো!
মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে আজ বোলিংয়ের উদ্বোধন করিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তবে বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য আসে অষ্টম ওভারে, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে। ব্যক্তিগত ১৩ রানে পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামানকে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন তিনি।
শুরুর ধাক্কার পর বাবর আজমকে নিয়ে অপর ওপেনার ইমাম উল হক হাল ধরেন পাকিস্তান ইনিংসের। দু'জনে মিলে গড়েন ১৫৭ রানের বিশাল জুটি। তবে ৩২তম ওভারে সাইফউদ্দিনের ফের আঘাতে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থেকে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বাবর।
বাবর আজম ব্যর্থ হলেও ঠিকই ক্যারিয়ারের সপ্তম শতকটি তুলে নিয়েছেন ইমাম। ১০০ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে হিট উইকেটের শিকার হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ব্যক্তিগত ২৭ রানে মিরাজের আজ একমাত্র শিকারে পরিণত হয়ে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। পরের ওভারেই মাত্র ৬ রানে ডেঞ্জারম্যান হারিস সোহেলকে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজ।
পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ মাত্র ২ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরেছেন, তবে তার ইনজুরির কারণ জানা যায়নি। অন্যদিকে সাইফউদ্দিনের দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ওয়াহাব রিয়াজ।
ইনিংসের শেষ ওভারের পরপর দুই বলে ২৬ বলে ৪৩ রান করে ঝড় তোলা ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমিরকে আউট করে পরপর ২ ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাক টু ব্যাক ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন মুস্তাফিজ। ১০ ওভার বল করে ৭৫ রান খরচে ৫ উইকেট নিয়েছেন কাটার মাস্টার। অন্যদিকে ৯ ওভারে ৭৭ রান খরচায় ৩টি শিকার গেছেন সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে।
এমএইচএস