বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লীগে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় ব্যবধানেই জয় পেয়েছে ভারত। সেই সাথে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকেই সেমিফাইনালে যাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচটি শুধুই নিয়ম রক্ষার হওয়াতে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট গতকাল মোহাম্মদ শামি ও যুজবেন্দ্র চাহালকে বিশ্রাম দিয়েছিল। শামির জায়গায় খেলেছেন এবারের বিশ্বকাপে এর আগে একটি ম্যাচেও সুযোগ না পাওয়া অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা।
যাই হোক, এই সাধারণ এক বিশ্রাম দেয়ার ঘটনাতেও ধর্মকে টেনে আনলেন পাকিস্তানের এক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। তার মতে, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই নাকি দারুণ ছন্দে থাকা সত্ত্বেও শামিকে দলে রাখা হয়নি!
পাকিস্তানের এক টিভি চ্যানেলে সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার মইন খানের পাশে বসে ম্যাচ বিশ্লেষণ করছিলেন ওই 'ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ'। তিনি বলেন, 'শামিকে বাদ দেয়া ঠিক হয়নি। ৩ ম্যাচে (আসলে ৪ ম্যাচ) ১৪ উইকেট পাওয়া একজন বোলারকে এভাবে বসিয়ে রাখা যায় না। সে রেকর্ডের দিকে এগোচ্ছিল। আজকের ম্যাচটি খেলতে পারলেই সে সেরা উইকেট শিকারিদের তালিকায় দুই অথবা তিন নম্বরে চলে আসতে পারত। আমি বুঝতে পারছি না এমন কেন হলো। আমার মনে হয় শামিকে বেঞ্চে রাখার জন্য দলের ওপর চাপ রয়েছে। মুসলমানদের এগোতে না দেয়ার ব্যাপারে বিজেপির (নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি) এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।'
এর আগে সাবেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আব্দুল রাজ্জাক ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের পর বলেছিলেন, 'একমাত্র মোহাম্মদ শামিই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের চেষ্টা দেখিয়েছে। কারণ সে সাচ্চা মুসলমান। ভারতীয়দের অন্যায়ভাবে ইচ্ছে করে ম্যাচ হেরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সে মাথা পেতে মেনে নেয় নি!'
বিশ্বকাপের শুরুর দিকে ভুবনেশ্বর কুমারের ভালো পারফরম্যান্সের কারণে দলে জায়গা পাননি মোহাম্মদ শামি। পরে ভুবনেশ্বর ইনজুরিতে পড়লে একাদশে ঢোকেন তিনি। দুর্দান্ত বল করে ৪ ম্যাচে শামি নিয়েছেন ১৪ উইকেট।
এমএইচএস