• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০১৯, ১০:১১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১১, ২০১৯, ১০:১৫ এএম

চিকিৎসা না করে অসুস্থ ফুটবলারদের বাড়ি পাঠিয়ে দিলো বাফুফে!

চিকিৎসা না করে অসুস্থ ফুটবলারদের বাড়ি পাঠিয়ে দিলো বাফুফে!
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন দুই নারী ফুটবলার

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুরের দুই কিশোরী ফুটবলার মার্জিয়া আক্তার ও সাজেদা আক্তার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা দুজনেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের সদস্য। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

মার্জিয়া ও সাজেদার পরিবারসূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অধীনে আবাসিক ক্যাম্পের অনুশীলনে থাকা অবস্থায় প্রায় ১০ দিন আগে তারা জ্বরে আক্রান্ত হয়। পরে গত রোববার মার্জিয়া আর সাজেদা জ্বর নিয়েই অভিভাবকের সঙ্গে কলসিন্দুর গ্রামে আসে। ঢাকায় থাকার সময় বাফুফের উদ্যোগে তাদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। 

এরপর গত সোমবার রাতে বাফুফের পক্ষ থেকে রক্ত পরীক্ষার ফল দেখে জানানো হয়, মার্জিয়া ও সাজেদা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। রাতেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মালা রানীকে জানায় মার্জিয়া ও সাজেদা। সকালে মালা রানী তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

জাতীয় ক্যাম্পে থাকা দুই ফুটবলারকে কিভাবে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে পাঠিয়ে দিলো বাফুফে, সে বিষয়টি অবাক করছে অনেককেই। বিশেষ করে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না পেয়েই তাদের দায়িত্ব পরিবারের হাতে ছেড়ে দেয় দেশীয় ফুটবলের এই সর্বোচ্চ সংস্থাটি। বাফুফের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরনে অবাক হচ্ছেন সবাই।  

ফুটবলার মার্জিয়া ও সাজেদার রক্ত পরীক্ষার প্রতিবেদন দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার বলেন, দুজনেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। তাদের আরও আগেই ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। তবে দুজনই প্রথমবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে হচ্ছে।

বাংলাদেশ প্রমীলা অনূর্ধ্ব ১৯ দলের দুই সদস্য মার্জিয়া ও সাজেদা

ওই হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বাফুফের সমালোচনা করে বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় অনেক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। মার্জিয়া আর সাজেদার জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর এভাবে গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি। ঢাকায় চিকিৎসা করানো উচিত ছিল।

বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় মার্জিয়া ও সাজেদার সঙ্গে। তারা জানায়, প্রায় ১০ দিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর বাফুফের কর্মকর্তারা তাদের রক্ত পরীক্ষা করান। তবে সেখানে পরীক্ষার ফল জানার আগেই তারা নিজেদের গ্রামে ফিরে আসে। তবে জ্বর পুরোপুরি কমেনি। গত সোমবার রাতে তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জেনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

এদিকে মার্জিয়া আক্তার ও সাজেদা খাতুনের স্বজনরা কন্যাদের উন্নত চিকিৎসা দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। বুধবার সকালে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান ও জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান হাসপাতালে দেখতে যান। এ সময় তারা  মার্জিয়া ও সাজেদার খোঁজখবর নেন। তাদের চিকিৎসার বিষয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। 

এমএইচএস 
 

আরও পড়ুন