• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০১৯, ১২:৩২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৫, ২০১৯, ১০:৩৪ এএম

অবিশ্বাস্য ফাইনাল! সুপার ওভারে বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড 

অবিশ্বাস্য ফাইনাল! সুপার ওভারে বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড 

বিশ্বকাপের আগের ফাইনালগুলোতে কখনো সেভাবে দু'দলের মধ্যে লড়াই হয়নি। এবারের বিশ্বকাপ যেন তাই প্রতিজ্ঞা করে বসেছিল, ফাইনালে আপামর ক্রীড়ামোদীদের দম বন্ধ হওয়ায় উপক্রম করে ছাড়বে। নতুনা শিরোপা ম্যাচ সুপার ওভারে যায় কীভাবে? 

হ্যাঁ, লর্ডসে আজ (রোববার) দ্বাদশ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে! বিশ্বকাপ ইতিহাসে যা প্রথম। আর এই ইতিহাস গড়া ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ হাসি হেসেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।  

ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ানোর আগে ইংল্যান্ডের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। কিন্তু ট্রেন্ট বোল্ট ইনিংসের শেষ ওভারে ১৪ রান দিলে ম্যাচ হয় টাই। ফলে ৬ বলের টাইব্রেকে গড়ায়। যেখানে আগে ব্যাট করে ২ বাউন্ডারির সাহায্য ইংল্যান্ড তোলে ১৫ রান। জবাবে নিউজিল্যান্ডও করে ১৫ রান। তবে তারা ইংল্যান্ডের চেয়ে বাউন্ডারি মারার হিসেবে ২৬-১৭ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার হিসেবে হেরে যায়। আর শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতে ব্রিটিশরা।  

ফাইনালে আজ দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ওপেনার হেনরি নিকোলসের ফিফটি ও শেষদিকে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান টম লাথামের ৪৭ রানে ভর করে ২৪১ রানের পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। ইংলিশ বোলারদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ক্রিস অকস ও লিয়াম প্লাঙ্কেট।

২৪২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কিউই পেস আক্রমণের কাছে ধরাশায়ী হয় ইংলিশ টপ অর্ডার। ৮৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে একসময় বিপাকেই পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে জস বাটলারকে নিয়ে ১১০ রানের জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনেন ফাইনালের ম্যাচসেরা ক্রিকেটার বেন স্টোকস।

কিন্তু শেষদিকে কিউই বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আবারও ম্যাচ ফেরে নিউজিল্যান্ড। দ্রুত বাটলার, ওকস, আদিল রশিদ ও লিয়াম প্লাঙ্কেটের উইকেট তুলে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে থাকেন নিশাম-ফার্গুসনরা।

তবে শেষ ওভারে যখন ইংল্যান্ডের ৩ বলে নয় রান দরকার, ঠিক তখনই ভাগ্যদেবী হেসে ওঠেন ইংলিশদের লক্ষ্য করে। ওভার থ্রোতে চার রান অতিরিক্ত পেয়ে যায় ইংল্যান্ড! সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ৩ রানের! তবে শেষ দুই বলে রান আউটের খাড়ায় পড়ে আদিল রশিদ ও মার্ক উড রান আউটের খাড়ায় পড়লে ইংল্যান্ড তুলতে পারে ২ রান! খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। 

সুপার ওভারেও দুই দল ছিল সমানে সমান। দুই দলই রান তোলে ১৫ করে। তবে সুপার ওভারে বাউন্ডারি থেকে প্রাপ্ত রানের হিসাবে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকায় শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয় তারাই।