নীলাভ চোখ আর মুখভর্তি দাড়ি। তার উদ্ভাসিত চেহারা থেকে যেন বিজয়ের আনন্দে ঠিকরে পড়ছে দ্যুতি । দেখতে ইংরেজের মতো, কিন্তু তিনি আইরিশ! আয়ারল্যান্ডের সবুজ জার্সি ছেড়ে ২০০৯ সালে টেস্ট খেলার তীব্র মনোবাসনা নিয়ে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। গায়ে লাগান ইংলিশ জার্সি। বলা হচ্ছে, বিজয়ের আনন্দ আর রোমাঞ্চকর ফাইনালের মহাকাব্যে যুদ্ধজয়ী, নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের দলপতি ইয়ন মরগানের কথা।
ইংল্যান্ডের ঘরে বিশ্বকাপটা তুলে দিলেও এদেশে আসার পর সয়েছেন অপমান ও কটু কথা। ইংরেজদের জাতীয় সঙ্গীতের ‘গড সেভ দ্য দি কুইনে’ গলা মেলান না বলে সহ্য করেছেন নানা অপবাদ। কিন্তু মরগান তাতে মুষড়ে যাননি। নিজের স্বপ্নটাকে থামিয়ে দেননি। তবে এখন তিনি যে প্রশংসার ভাসছেন, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্যে সৌভাগ্যের সঙ্গে আল্লাহও যে তাদের পাশে ছিল, সে কথাও স্বীকার করেন মরগান। তিনি বলেন, আমি আদিল রশিদের সঙ্গে আইরিশ সৌভাগ্য নিয়ে কথা বলছিলাম। সে আমাকে বললো, আল্লাহও অবশ্যই আমাদের সঙ্গে আছেন। এটাই আমাদের দলের মধ্যে অটুট বন্ধনের কথা জানান দেয়। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে এসেছি। কিন্তু আজ (গতকাল) আমরা একসঙ্গে লড়াই করেছি। আসলেই আল্লাহ আমাদের সঙ্গে ছিল।
ইংলিশ কিংবদন্তিরা যা পারেননি, ভিনদেশি আইরিশ মরগানই তা এনে দিলেন ইংল্যান্ডকে। এরপর নিশ্চয়ই তার জাতীয়তা নিয়ে আর প্রশ্ন উঠবে না। ইংলিশদের ইতিহাসের পাতায় যে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে গেল মরগানের নামটি, যার পাশে ‘ভিনদেশি’ শব্দটা বড্ড বেমানান।
সূত্র : ক্রিকইনফো
এসকে/আরআইএস