• ঢাকা
  • রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০১৯, ০২:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৪, ২০১৯, ০৩:১৪ পিএম

শেবাগ-গাঙ্গুলি-শচীনের মতো বোলারের অভাবে টিম ইন্ডিয়া! 

শেবাগ-গাঙ্গুলি-শচীনের মতো বোলারের অভাবে টিম ইন্ডিয়া! 
বীরেন্দ্র শেবাগ, সৌরভ গাঙ্গুলি এবং শচীন টেন্ডুলকার। ফটো : ক্রিকইনফো

শুধুমাত্র ভারতীয় ক্রিকেটে নয়, ব্যাট হাতে নিজেদের জাত চিনিয়ে বছরের পর বছর বিশ্ব ক্রিকেটকে বিমোহিত করে রেখেছিলেন নিজ দেশে ক্রিকেট শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি এবং বীরেন্দ্র শেবাগ। 

একের পর এক রেকর্ড গড়ে নিজ দেশে অনেক আগে থেকেই ঈশ্বর নামে খ্যাত শচীন। নিজের শহরে তো বটেই, গোটা ভারতে নিজের কীর্তির কারণে প্রিন্স অব কলকাতা নামে পরিচিত টিম ইন্ডিয়ার কারিগর সৌরভ গাঙ্গুলি। আর ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে শেবাগ তো আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে দলের আলাদা একটি ব্র্যান্ডই তৈরি করে ফেলেছিলেন।

শুধু ব্যাট হাতে নয়, দলের প্রয়োজনে বল হাতেও এই তিন ক্রিকেটার নিজেদের সামর্থ্য অনেকবারই প্রমাণ করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দলের হয়ে মোট ৪৭৯ উইকেট দখল করা এই তিন মহারথী পার্ট টাইম বোলার হিসেবে প্রয়োজনীয় সময়ে ব্রেক থ্রু এনে দিয়ে ম্যাচের চেহারা অনেকবার বদলে দিয়েছেন। তাদের উইকেট পাওয়ার সংখ্যা দিয়ে কখনো বোলার হিসেবে তাদের প্রকৃত মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। 

নিয়মিত বোলাররা যখন প্রতিপক্ষের উইকেট ফেলতে ব্যর্থ হতেন, তখনই দলের প্রয়োজনে শচীন ও শেবাগের হাতে বল তুলে দিতে মোটেও কার্পণ্য করতেন না অধিনায়ক। এমনকি খুব দরকার মনে হলে সৌরভ গাঙ্গুলি নিজেই বল হাতে দৌড়ে যেতেন শিকারের সন্ধানে।  

সময় যত গড়িয়েছে স্পিন শক্তির পাশাপাশি পেস আক্রমণেও এখন বিশ্ব ক্রিকেটে দাপট দেখাচ্ছে ভারত। ব্যাটিং অর্ডারের পাশাপাশি বোলিং ডিপার্টমেন্টেও টিম ইন্ডিয়া এখন সমীহ জাগানিয়া এক দল। নিজের দেশে বাঘ আর পরের দেশে বিড়াল তকমা ছেঁটে ফেলে এখন সিরিজ জয় করা ভারতের জন্য আর অধরা কোনো বিষয় নয়।

এতোকিছুর পরেও ভারতীয় ক্রিকেট দলের একটি দুর্বলতা নিয়ে নিজের মনোভাবের কথা জানিয়েছেন জনপ্রিয় ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। বুধবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে এক টুইট বার্তায় ভোগলে বিষয়টি তুলে ধরেন।

হার্শা ভোগলে তার টুইটে লিখেছেন, এখনকার কোনো তরুণ ব্যাটসম্যান শেবাগ, গাঙ্গুলি এবং শচীনের মতো বোলিং অপশন হতে পারছে না; যা কিছুটা দুশ্চিন্তার ব্যাপার। এই সত্য বলাই বাঞ্ছনীয় যে, এখানে (দলে) বোলিং লাইনে দ্বিতীয় দড়ি (ব্যাক আপ) হিসেবে কেউ কাজ করতে পারছে না। ভবিষ্যৎ বাস্তবতায় দল তাদের কাছ থেকে আরও একটি স্কিলের (বোলিং) উৎকর্ষতা আশা করে। 
 
আরআইএস    
 

আরও পড়ুন