
বিশ্বকাপ ব্যর্থতা শ্রীলঙ্কা সফরেও ধরে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটিতেই হেরে এখন হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় টাইগাররা।
গতকাল (রোববার) সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে তামিম ইকবাল বাহিনী। ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেও দলকে জয় এনে দিতে না পারায় মুশফিক যারপরনাই হতাশ। এদিকে হারের কারণ হিসেবে তিনি কাঠগড়ায় তুললেন ম্যাচের প্রথম ১০ ওভারে নিজেদের নির্বিষ ব্যাটিং-বোলিং।
ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘এই ট্র্যাকে আমরা যদি ভালোভাবে শুরু করতে পারতাম তবে স্কোরবোর্ডে ২৭০-২৮০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারতাম। তবেই ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারতো। যদিও শেষের দিকে এসে মনে হচ্ছিল, প্রথম ১০ ওভারে দারুণ বোলিং করতে পারলে, এটাই চ্যালেঞ্জিং স্কোর। কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি। আমরা সহজ কিছু বাউন্ডারি তাদের উপহার দিয়েছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে, প্রথম ১০ ওভারে আমাদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের ধরনই আমাদের হারের কারণ।’
আর.প্রেমাদাসার উইকেট নিয়ে দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বলেন, ‘প্রথম ওয়ানডের তুলনায় দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের উইকেট কিছুটা স্লো ছিল। ঘাসও কম ছিল। এ কারণে আমরা সহজে ইনিংস শুরু করতে পারিনি। এ ছাড়াও স্পিন বোলিংও সমস্যা করছিল আমাদের। বল কখনো উপরে, কখনো নিচু হয়ে আসছিল। এ কারণেই আমার মনে হচ্ছিল, ২৭০-৮০ রানই চ্যালেঞ্জিং স্কোর।’
র্যাংকিংয়ের নিচের দলের কাছে সিরিজ খোয়ানোয় সন্তুষ্ট নন মুশফিক। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে টাইগাররা বেশ শক্তিশালী দল হলেও, লঙ্কানদের কাছে অপ্রত্যাশিত হার পোড়াচ্ছে তাকে, ‘আপনি যদি শেষ ৪-৫ বছরে আমাদের পারফরম্যান্স বিবেচনা করে দেখেন, তবে দেখবেন আমরা ভীষণ ভালো করছিলাম। এ কারণে আমরা র্যাংকিংয়ে ৭তম স্থানে আছি। কিন্তু আসল কথা হলো, আপনাকে প্রতিনিয়ত ভালো খেলতে হবে যা বেশ কঠিন।’
শ্রীলঙ্কার জয় নিয়ে মুশফিক আরও বলেন, ‘তারা অনবদ্য ক্রিকেট খেলেনি। তারা সাধারণ মৌলিক ক্রিকেট খেলেছে। তবে আমরা তা পারিনি। এই দুই ম্যাচ থেকে আমরা তাই এ শিক্ষাটাই নিতে পারি তাদের কাছ থেকে। এখনো আমাদের হাতে ১টি ম্যাচ আছে। আমরা আমাদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি। আশা করি, শেষ ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে আমরা ভালো কিছু নিয়েই দেশে ফিরব।’
এসএইচএস
এসএইচএস