
আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে ফুরফুরে মেজাজে থেকেই বিশ্বকাপে পা রাখে বাংলাদেশ। তবে সেরাদের আসরে আশানুরূপ পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয় টাইগাররা। একমাত্র সাকিব আল হাসান বাদে দলের প্রায় সকলেই ভুলে যেতে চাইবে বিশ্বকাপের দুঃসহ স্মৃতি।
বিশ্বকাপের সেই বাজে অভিজ্ঞতার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে উড়াল দেয় বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপের বাজে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা এখানেও ধরে রাখেন তামিম-মাহমুদউল্লাহরা। মাশরাফী-সাকিববিহীন দল অপ্রত্যাশিতভাবে লঙ্কানদের কাছে সিরিজে হয় হোয়াইটওয়াশ।
দলের এরকম বাজে পারফরম্যান্সে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট। চারদিকে চলছে বিস্তর সমালোচনা। তা থেকে ছাড় পাচ্ছে না কেউ। অভিজ্ঞ, তরুণরা কেউ-ই নিজেদের প্রমাণ করতে পারেনি এই সিরিজে। টাইগার ভক্ত-সমর্থকরা এখন তাই চরম ক্ষিপ্ত দলের ওপর।
বিশ্রামের কারণে শ্রীলঙ্কা সফরে দলের সঙ্গে না যাওয়া বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও দল নিয়ে চরম হতাশ। আজ (০১ আগস্ট) বনানি বিদ্যানিকেতনে ডেঙ্গু সচেতনতামূলক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সেখানে তিনি জানান, ‘সময় এসেছে দলকে নিয়ে সুদূরবর্তী পরিকল্পনা হাতে নেয়ার। আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের জন্য বিস্তর পরিকল্পনা হাতে নেয়া উচিত। আমি নিশ্চিত, বিসিবিতে যারা দায়িত্বে আছেন তারা এগুলো নিয়ে চিন্তা করছেন। ইতোমধ্যেই আমাদের ২ জন কোচ নিয়োগ পেয়েছে। হয়ত পুরো কোচিং স্টাফ একসঙ্গে হলে তারা একটা পরিকল্পনা করে বোর্ডকে তা দিতে পারবে। তাহলে আমাদের ক্রিকেট শেষ ৪/৫ বছরে যতদূর এগিয়েছে, সেখান থেকে আমরা আরও সামনের দিকে এগিতে যেতে থাকব।’
শ্রীলঙ্কার কাছে তিন ম্যাচেই লজ্জাজনক হার! বিশ্বকাপে করুনারত্নে- মালিঙ্গাদের সঙ্গে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে ভেসে যাওয়ায় অনেকেই বলাবলি করছিল, বাংলাদেশ হয়ত ২টি পয়েন্ট হারাল। কিন্তু সাকিব সদ্য সমাপ্ত সিরিজের কথা টেনে বললেন, ‘টাইগাররা সেই ম্যাচ জিততে নাও পারত, বিশ্বকাপে যখন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলা হয়নি অনেকেই ভেবেছিল আমরা ২ পয়েন্ট হারিয়েছি। এই সিরিজে আসলে প্রমাণ হয়েছে, সেই ২ পয়েন্ট নিশ্চিত ছিল না। আমরা জিততেও পারতাম আবার হারতেও পারতাম।’
এসএইচএস