
প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে কী বিপদেই না পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মর্যাদার অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। কিন্তু সেখান থেকে স্টিভ স্মিথ নিজের প্রত্যাবর্তনের মঞ্চকে রাঙিয়ে তুললে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া।
আর সেই ঘুরে দাঁড়ানোটা স্বাগতিক ইংল্যান্ডের ওপর এতটাই প্রভাব ফেলল যে প্রথম ইনিংসের ৯০ রানের লিড নিয়েও প্রথম টেস্ট তারা হেরে গেল। টেস্টের পঞ্চম দিনে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৩৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড ১৪৬ রানেই অলআউট হয়ে গেছে। ফলে ২৫১ রানের বিশাল জয় দিয়েই এবারের অ্যাশেজ শুরু করল অজিরা।
চতুর্থ দিনে ৭ উইকেটে ৪৮৭ রান তুলে অস্ট্রেলিয়া তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করলে ইংল্যান্ডের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৯৮ রান। বিনা উইকেটে ১৩ রানে দিন শেষ করা ইংলিশদের শেষ দিনে জিততে দরকার ছিল ৩৮৫ রান। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা ইংলিশ ব্যাটসম্যান নাভিশ্বাস তুলে ছাড়লে দেড়শ করার আগেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদেড় ইনিংস।
শেষ দিনে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫ রান যোগ করতেই প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ১১ রান করা ওপেনার ররি বার্নসকে নাথান লাওনের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান প্যাট কামিন্স।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জেসন রয় ও জো রুট প্রতিরোধের আভাস দিলেও নাথান লিওন একাই ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দেন। প্রথমে তিনি ফেরান ২৮ রান করা রয়কে। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে জো ডেনলি (১১ রান) ও জো রুটের (২৮) উইকেটও তুলে নেন তিনি।
লিওনের এই স্পিন ঘূর্ণিতেই বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। যেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে জস বাটলার, বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টোরা এদিন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেন। কেউ দেখা পাননি দুই অংকের ছোঁয়া । তবে শেষের দিকে ক্রিস ওকস ৩৭ রান করলে হারের ব্যবধান কিছুটা কমে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একাই ইংল্যান্ড ব্যাটিং অর্ডারকে গুড়িয়ে দেন স্পিনার নাথান লিওন। মাত্র ৪৯ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিজের পকেটে পোরেন তিনি। আর ইনিংসের বাকি ৪ উইকেট নেন পেসার প্যাট কামিন্স। মাত্রিও ৩২ রান দিয়ে উইকেটগুলো শিকার করেন তিনি।
এসএইচএস