
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারল শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টির কারণে টেস্টের বেশিরভাগ সময় খেলা না হলেও, শেষ রক্ষা হলো না শ্রীলঙ্কার। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে স্বাগতিকরা হেরেছে এক ইনিংস ও ৬৫ রানের ব্যবধানে।
টেস্টের শেষ দিনে এসে আর মাত্র ১৫ মিনিট ব্যাট করতে পারলেই চলত শ্রীলঙ্কার। কিন্তু কিউই বোলারদের সামনে টিকতেই পারলো না তারা। যে কারণে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হয় দিমুথ করুনারত্নের দলকে।
কলম্বো টেস্টের শেষদিনে মাত্র ৫ ওভার ব্যাটিং করে ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। সফরকারীদের থেকে ১৮৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে লঙ্কানরা। স্বভাবতই ড্রয়ের লক্ষ্য নিয়েই ব্যাট করতে নামে তারা।
কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে লজ্জাজনক ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। দলের দুই ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নে ও কুশাল পেরেরা আউট হন শূন্য রান করে। থিরিমান্নেকে রানআউটের ফাঁদে ফেলেন আজাজ প্যাটেল। অন্যদিকে পেরেরাকে ওয়াটলিংয়ের ক্যাচ বানান ট্রেন্ট বোল্ট।
অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ (৭ রান) ও ধনাঞ্জয়ে ডি সিলভা (১ রান) দ্রুত বিদায় নিলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। স্কোরবোর্ডে স্বাগতিকদের রান তখন ২২, উইকেট নেই ৪টি। সেই বিপর্যয় আরও বাড়ে কুশাল মেন্ডিস ব্যক্তিগত ২০ রানে আউট হলে। উইলিয়াম সমারভিলের বলে বোল্ড হন তিনি।
অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে নিয়ে নিরোশান ডিকওয়েলা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু টিম সাউদি সেই প্রচেষ্টা ভেস্তে দেন। তিনি লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন করুনারত্নেকে। ফলে ভেঙে যায় ইনিংস সর্বোচ্চ ৪১ রানের জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে করুনারত্নের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান।
লোয়ার মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারে নামা ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরি ব্যর্থ হয় ব্ল্যাকক্যাপসের বিরুদ্ধে লড়তে। উইকেটের একপ্রান্তে আপ্রাণ লড়ে ফিফটি তুলে নেন ডিকওয়েলা। কিন্তু তিনি ৫১ রান করে বিদায় নিলে টেস্ট বাঁচানোর স্বপ্ন নিভে যায় শ্রীলঙ্কার। ডিকওয়েলার উইকেটটি তুলে নেন প্যাটেল।
শেষতক, ১২২ রানে থামে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে এক ইনিংস ও ৬৫ রানের হার জোটে স্বাগতিকদের কপালে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সাউদি, বোল্ট, প্যাটেল ও সমারভিল।
এ জয়ে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করলো নিউজিল্যান্ড। ম্যাচসেরা হয়েছেন, টম লাথাম। অন্যদিকে, সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন আরেক কিউই- বিজে ওয়াটলিং।
এসএইচএস