
পুরো বাংলাদেশেই এখন পরিচিত মুখ তিনি। তার অটোগ্রাফ আর ছবির জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে সবাই। তবে একটা সময় মেহেদী হাসান মিরাজকে চিনতো না খুব বেশি মানুষ। এতটা জশ-খ্যাতিও ছিল না তার। তখনও তাকে চিনতেন সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে। সেই মানুষটাকেই ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা, এরপর প্রেমের সম্পর্ক, যার পরিণতি বিয়ে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার প্রেমে পড়েছিলেন সেই অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময়েই। নানা ঘাত- প্রতিঘাত পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সেই প্রেম রূপ দিয়েছেন বিয়েতে। তবে এই পথটা বলতে যতটা সহজ শোনাচ্ছে, আসলে ততটা সহজ ছিল না। নিজের প্রেম থেকে বিয়ের গল্পটা মিরাজ নিজেই বলেছেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভিকে।
মিরাজ বলেন, ‘আমি যখন অনূর্ধ্ব- ১৯ দলে খেলি; তখন ওর সাথে আমার খুলনাতে দেখা হয়। সেখান থেকেই ভালোলাগা এরপর ভালোবাসা। তারপর তো বিয়েই। তাকে খুব বেশি সময় দিতে পারতাম না। কারণ আমি তখন ক্রিকেট নিয়েই ব্যস্ত থাকি। তার উপর থাকতাম ঢাকায়। তাই তেমন কোনো বিশেষ মুহূর্ত নেই। তারপরও যেটা ভালো লাগতো- খুলনাতে যেতাম, সেখানে গিয়ে হয়তো দেখা হতো, এটুকুই।’
এ বছরের ২১ এ মার্চ বহুদিনের প্রেমিকা রাবেয়া আখতার প্রীতিকে বিয়ে করেন মিরাজ। তবে এর পেছনেও ছিল অনেক কঠিন লড়াই। মিরাজ মনে করেন সামর্থ্য থাকলে যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে করে ফেলা উচিত। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই ক্রিকেটকে বেশি সময় দিতে দ্রুত বিয়ে করে ফেলেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মিরাজ আরও বলেন, ‘সম্পর্ক করলে তো একটু কষ্ট করতে হয়ই। আমাদের সংস্কৃতিতে এটা নেই। আমার খুব বেশি কষ্ট করা লাগেনি। বিয়েটা ফরজ কাজ, সবাই করে আমিও করেছি। আমার কাছে মনে হয় বিয়েটা তাড়াতাড়ি করা উচিত। আমি ক্রিকেট ভালোবাসি। আমি যাতে এর থেকে দূরে সরে না যাই, সেই জন্য আমি বিয়ে করে ফেলেছি।’
ক্রিকেট থেকে দূরে সরে না যেতে মিরাজের দ্রুত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টিকে অনেকেই যে যার মতো করে ভাবতে পারেন। তবে বাস্তবতা হলো, নিজের দীর্ঘদিনের প্রেমিকাকে বিয়ে করে নিজের করে নেয়াতে আর যাই হোক, হারানোর ভয় না নিয়েই অন্তত মাঠে নিশ্চিন্তে তিনি খেলতে পারবেন তা বলা বাহুল্য!
এনটিভিকে মেহেদী হাসান মিরাজের দেয়া সাক্ষাৎকারের ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন এখানে-
এমএইচবি/আরআইএস