
এমনিতেই মাঠের ক্রিকেটে সময়টা বাংলাদেশ দলের মোটেও ভালো যাচ্ছে না। তার মধ্যে নির্বাচকদের খেলোয়াড় বাছাইয়ে হটকারি সিদ্ধান্ত, বোর্ড সভাপতির একেক সময় একেক মন্তব্যে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি নিয়ে যখন টাইগার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ এবং হতাশ; তখনই এলো এক দুঃসংবাদ।
দীর্ঘ ১৪ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ন্যাশনাল গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন ফাহিম পদত্যাগ করেছেন। আগামী ১ অক্টোবর থেকে তার পদত্যাগ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে। অথচ অফ ফর্মে চলে যাওয়া খেলোয়াড়দের শেষ ভরসার জায়গা ছিল তাদের প্রিয় ফাহিম স্যার।
নিজের পদত্যাগ প্রসঙ্গে একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফাহিম ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন বলে জানালেও বাস্তবতা হলো, নিজের দায়িত্ব পালনে অতিমাত্রায় সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হওয়াতেই তিনি সরে গেছেন।
নাজমুল আবেদীন ফাহিমের পদত্যাগের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সাবেক ক্রীড়া সাংবাদিক জালাল চৌধুরী ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,জনাব ফাহিমের সম্মানে কবি আল মাহমুদের চারটি লাইন একটি মাত্র শব্দ বদল করে (কবির কছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক) নিবেদন করছি।
পোকায় ধরেছে আজ ক্রিকেটের ললিত বিবেকে
মগজ বিক্রয় করে পরিতৃপ্ত পন্ডিত সমাজ
ভদ্রতার আবরণে কতদিন রাখা যায় ঢেকে
যখন আত্মায় কাঁদে কোনো দ্রোহী কবিতার কাজ।
এরপর নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে শুভকামনা জানিয়ে জালাল চৌধুরী লিখেছেন, ভারমুক্ত বিবেকে ভালো থাকবেন ফাহিম, মঙ্গলময় আপনাকে আনন্দে রাখুন।
জালাল চৌধুরীর এই স্ট্যাটাসের কমেন্টে নাজমুল আবেদিন ফাহিম লিখেছেন, দোয়া করবেন জালাল ভাই।
বিসিবির সাবেক কোচ ফাহিম ২০০৫ সালে বিসিবিতে নিজের চাকরি জীবন শুরু করেন। হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের সিনিয়র কোচের দায়িত্ব পালনের পর তিনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের কোচ হন।
পরবর্তীতে তিনি ন্যাশনাল গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব সামলালেও শুধুমাত্র নারী ক্রিকেটেই তার কাজের পরিধি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। কোনো সন্দেহ নেই, নারী ক্রিকেটের আজকের উত্থান তার হাত ধরেই হয়েছে। তবে তার মতো মেধাবী ও জ্ঞানের অধিকারী একজন মানুষকে বিসিবি কাজে লাগায়নি। তাই হয়তো সেই হতাশা থেকেই কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ না করেই সরে গেলেন সবার প্রিয় ফাহিম স্যার।
আরআইএস