
ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার ক্লাবগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কোটি-কোটি টাকার রমরমা ক্যাসিনো ব্যবসার বিষয়টি বেরিয়ে আসার পর থেকে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উপর দিয়ে রীতিমতো কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাচ্ছে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের যত পুরোনো ক্লাব রয়েছে, তার প্রায় সবখানেই এতদিন ধরে চলে এসেছে অসামাজিক কার্যকলাপ।
ক্রীড়াঙ্গনকে কালিমালিপ্ত করা ক্লাবগুলোর জন্য চরম বিব্রতকর অবস্থার ভেতরে পড়ে গেছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। অথচ এতকিছু ঘটে যাওয়ার পরেও ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কিছুই করার নেই বলে অসহায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানান, লিমিটেড এবং ব্যক্তিগত ক্লাবগুলো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেই। এসব ক্লাব বাণিজ্য আর সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে।
তিনি বলেন, নামে স্পোর্টস ক্লাব হওয়ার পরেও সেখানে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা রাখার কোনো সুযোগই রাখা হয়নি। লিমিটেড কোম্পানিগুলোকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রেজিস্ট্রেশন দিতো। যারা লিমিটেড কোম্পানি নয়, তারা সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় রেজিস্ট্রেশন নিতো।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে ক্লাবগুলোর সরাসরি জবাবদিহিতা না থাকায় ক্ষুব্ধ ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে দেশের ক্লাবগুলোকেও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতেও উদ্যোগ নিতে চায় মন্ত্রণালয়।
তবে ক্যাসিনো সাঈদ নামে খ্যাত যুবলীগ নেতা মুমিনুল হক সাঈদ শুধুমাত্র আরামবাগের কর্তা নন হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকও বটে। তাই ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে প্রচলিত আইনি ব্যবস্থার পর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাঠ গড়ায় তাকে দাঁড়াতে হবে।
এ প্রসঙ্গে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ক্রীড়াঙ্গনে এ ধরনের মানুষের জন্যই অতীতে বদনাম হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে বসবো। ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত কেউ ফেডারেশনে আছে কি না, থাকলে কোন কোন পর্যায়ে আছে- এসব যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া আমরা শুরু করতে পারি।
সূত্র : চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর
আরআইএস