
ম্যাচ ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০০০ সালে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানতে বাধ্য হন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। পরে অবশ্য অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট আজহারউদ্দিনকে নির্দোষ সাব্যস্ত করে রায়ে বলেছিল, তার বিষয়ে তদন্ত ঠিকমতো হয়নি।
আদালতের রায়ে নির্দোষ সাব্যস্ত হওয়ার পর আজহারউদ্দিনের ক্রিকেটে ফিরতে আর কোনো বাধা ছিল না। কিন্তু বয়স এবং অনেকের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পড়ে যাওয়ায় তার পক্ষে ব্যাট হাতে আর মাঠে নামাই সম্ভব হয়নি।
তবে অনেকদিন পরে হলেও আজহারউদ্দিন ক্রিকেটে ফিরে এলেন এবং বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করলেন। যদিও তা খেলার মাঠে নয়, মাঠের বাইরের অন্য এক খেলায়। হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চাঁদ জৈনের বিরুদ্ধে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এরমধ্যে দিয়ে ভারতকে দুইবার বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেয়া এই সাবেক ক্রিকেটার ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে পথচলা শুরু করলেন।
এদিকে, আবারো দ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। তিনি অবশ্য আজহারউদ্দিনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী খুঁজে পাননি। তাই বিনা প্রতিন্দ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়ে তিনি ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।
বিনা প্রতিন্দ্বন্দিতায় সিএবি’র নির্বাচনে জয়ী হওয়া গাঙ্গুলীর নেতৃত্বাধীন প্যানেল ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর পর ২০১৫ সালে প্রথমবার সিএবি’র সভাপতি হন সৌরভ। তার আগে ২০১৪ সাল থেকে সিএবি’র যুগ্ম সচিব ছিলেন তিনি। যুগ্ম সচিব হওয়ার আগে সিএবি-র ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যও ছিলেন প্রিন্স অব কলকাতা।
আরআইএস