
‘কাদা মাঠ পেলে বাংলাদেশ কাতারকেও হারিয়ে দিতে পারে।’ কথাটি বাংলাদেশের কারো নয়। ভুটানকে ৪-১ গোলে বাংলাদেশ বিধ্বস্ত করার পর কথাটি বলেছিলেন খোদ প্রতিপক্ষ কোচ। ওই ম্যাচের আগের ভারি বৃষ্টির কল্যাণে এতো বড় জয় না আসুক, কিন্তু খানিকটা সুবিধা যে বাংলাদেশ পেয়েছে তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ভুটানের বিপক্ষে এরপরের ম্যাচেও বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল, সেই ম্যাচের আগেও বৃষ্টির দেখা মিলেছিল। তারপর থেকেই ঘুরেফিরে বাংলাদেশের কোচ-খেলোয়াড়দের কণ্ঠে সেই বৃষ্টির প্রার্থনা। কেননা কাঁদা মাঠে বাংলাদেশ যতটা স্বাচ্ছন্দ্যে বোধ করবে, কাতার ঠিক তার উল্টোটা।
ফিফা র্যাংকিংয়ে কাতারের চেয়ে ১২৫ ধাপ পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। দুই দলের ব্যবধানটা আরেকটু স্পষ্ট হয় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দিকে তাকালে। যেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ, তাদেরই ছয় গোলে বিধ্বস্ত করেছে কাতার।
একটু বৃষ্টিই যে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন ও লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের মধ্যেকার ব্যবধানটা কমিয়ে আনতে পারে তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের কোচ ও খেলোয়াড়দের সেই কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে ম্যাচের দিন (বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর) সকাল থেকেই। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের আশে-পাশে হয়েছে ভারি বৃষ্টি। এখন দেখার বিষয় সেটাকে কতটুকু ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে জেমি ডের শিষ্যরা।