
তারিখটা ছিল ৩০ এপ্রিল। চল্লিশ বছর আগের ১৯৭৯ সাল। সেবারই প্রথমবারের মতো কাতারের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। বর্তমানে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে যেটুকু সুখস্মৃতি ওই ম্যাচটাই। এশিয়ান গেমসের প্রাক-বাছাইয়ের সেই ম্যাচে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে কাতারকে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
এরপর বহুবার পূর্ব আকাশে সূর্যোদয় হয়েছে, পশ্চিমাকাশে অস্তও গিয়েছে তা। চার দশকে বিদ্যুৎ গতিতে এগিয়েছে কাতার, একেবারেই তার বিপরীত পথে হেঁটেছে বাংলাদেশের ফুটবল। মাঠে ময়দানে ফুটবলের যে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা ছিল। তা এখন অস্তমিত হওয়ার অপেক্ষায়।
সে চিত্র অঙ্কিত হয়েছে কাতারের সঙ্গে পরের দুই দেখায়। একই বছরে এশিয়ান গেমসের প্রাক বাছাইয়ে দুইবার কাতারের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমটা ছিল ২০০৬ সালের ১৬ আগষ্ট। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল ৪-১ ব্যবধানে।
মাত্র ২৩ মিনিটের মাথায় আব্দুল্লাহ আব্দুল আজিজ লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় কাতার। এর আগেই অবশ্য ৭ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে আব্দুল মাজিদের গোলে এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু ওই ২৩ মিনিটের মাথায়ই গোল শোধ করেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ আরমান। দশ জনের দল নিয়ে যেন আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে কাতার।
৩৬ মিনিটের মাথায় আদেল লামির গোলে দ্বিতীয়বার এগিয়ে যায় বর্তমান এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। এরপর ব্যবধান ৩-১ করতে ইবরাহিম সময় নেন মাত্র দুই মিনিট। বিরতির পর ৭৪ মিনিটে তারই দ্বিতীয় গোলে ৪-১ ব্যবধানের বড় জয় নিশ্চিত হয় কাতারের।
এই ম্যাচের বিশ দিন পর, ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আবার সেই এশিয়ান কাপের প্রাক বাছাইয়েই কাতারের বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলতে নামে বাংলাদেশ। যেখানে ২০ মিনিটের মাথায় কাতারকে এগিয়ে দেন আব্দুর রহমান। এরপর ২৫ মিনিটের মাথায় আদেল লামি আর ৫১ মিনিটে সামারির গোলে ৩-০ গোলের বড় জয় পায় কাতার।
প্রায় ১৩ বছর পর বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) আবারও কাতারের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। আগের সেই পুরনো ফুটবল বদলে বাংলাদেশ এখন খানিকটা আত্মবিশ্বাসী। জেমি ডের কৌশল, আর অধিনায়ক জামালের নির্ভার থাকার মন্ত্র যদি ঠিক মতো মাঠে কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ। তাহলে নিশ্চয়ই বহুদিন পর লাল-সবুজের প্রতিটা কোণায় কোণায় শুরু হবে ফুটবল উৎসবের আমেজ।
এমএইচবি