
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নাম সাইফ হাসান। ঘরোয়া লীগ, ‘এ’ দল সহ যেখানে খেলছেন সেখানেই রানের ফোয়ারা ছুটাচ্ছেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। তার সেঞ্চুরি ও আরেক তরুণ নাঈমের ফিফটির ওপর ভর করেই শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
শনিবার (১২ অক্টোবর) কলম্বোয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ আন-অফিশিয়াল ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলকে ডি/এল মেথডে ৯৮ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে দূর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান ও মোহাম্মদ নাঈম।
দুই ছক্কা ও পাঁচ চারে ৭৬ বল থেকে ৬৬ রান করে নাঈম আউট হলে ভাঙে ১২০ রানের জুটি। তার আউটটিও অবশ্য স্বাভাবিক নয়, ফিল্ডিংয়ে বাঁধা দেয়ায় আউট দেয়া হয় তাকে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন সাইফ। ইনিংসের ৪২তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১১০ বলে ১১৭ রান করেন তিনি।
এই দুই জন ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে কেউই বলার মতো সংগ্রহ করতে পারেননি। সাইফ-নাঈমের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে। এছাড়া নুরুল হাসান সোহান ১৭, এনামুল হক বিজয় ১৫, আফিফ হোসেন ধ্রুব ১২ এবং সানজামুল ইসলাম করেন ১২ রান। শেষ পর্যন্ত পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ৩২২ রান তুলে বাংলাদেশ।
বড় সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে ১১ রানেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পাতুন নিশানকার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর ২৭ রান তুলতেই আরও এক উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। কামিন্ডু মেন্ডিস ৫৫ আর প্রিয়ঞ্জন ৩৪ রান করলেও দ্রুত আরও কয়েকটি উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। ১২৯ রানের মধ্যে তাদের ৬ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশি বোলাররা। এর সঙ্গে আর ১ রান যোগ হতেই আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
পরে খেলা আর শুরু করা না গেলে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন এবাদত হোসেন আর সাইফ হাসান।
এমএইচবি