
দরিদ্রতার কষাঘাতে পিষ্ঠ শৈশব। চারদিকে কেবল ক্ষুধার যন্ত্রণা। বেঁচে থাকাই তো দায়। একদিন স্কুল থেকে ফিরে দেখলেন কাঁদছেন মা। সন্তানদের মুখে ঠিকমতো খাবার তুলে দিতে না পারা মায়ের সে কষ্ট দেখে বলেছিলেন, ‘আমি ফুটবল খেলেই সব পাল্টে দেব। তোমাকে আর কষ্ট পেতে দেব না মা।’
রোমেলো লুকাকু সেটা পেরেছেন। নিজের পরিবারের দরিদ্রতা ঘুচিয়েছেন। বেলজিয়ামকে তুলেছেন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। খেলছেন ইউরোপের সব নামি-দামি ক্লাবে। তার এতসব অর্জনের ভিড়ে দারুণভাবে রচিত করলেন এক যোগসূত্র! সেই মায়ের কান্না চিরতরে মুছবে বলে ফুটবল মাঠে নামা ছেলেটা সেদিন গড়লেন এক ইতিহাস।
প্রথম ফুটবলার হিসেবে দেশের জার্সিতে করলেন ৫০ আন্তর্জাতিক গোল। মজার ব্যাপার, ৫১তম গোলটা যেদিন করলেন সেদিন ছিল তার মায়ের ৫১তম জন্মবার্ষিকী। শৈশবে অভাবে পানি মেশানো দুধ আর বাড়ির পাশের বেকারি থেকে ধার করে নিয়ে আসা পাউরুটি খেয়ে জীবন চলত তার! অর্থকষ্ট এতো বেশি ছিল যে ঘরে বহুদিন ছিলনা বিদ্যুৎও।
সেসব জয় করেছেন লুকাকু। সফলতার স্বর্ণশিখরেও উঠেছেন। তবে এতোকিছুর ভিড়েও তার করা ৫১ তম গোলটা নিশ্চয়ই বিশেষ কিছু হয়ে থাকবে লুকাকুর জীবনে। সে জন্যই তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এই গোল নিয়ে নিজের উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন বেলজিয়ান এই ফুটবলার।
এমএইচবি