• ঢাকা
  • রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ০৮:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ০৯:০৩ পিএম

সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো বসুন্ধরা কিংস

সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো বসুন্ধরা কিংস

এক ম্যাচেই সমান ৪টি করে হলুদ আর লাল কার্ড দেখালেন রেফারি। ভারতের ক্লাব চেন্নাই সিটি এফসির ফুটবলাররা দেখলেন দুই হলুদ ও তিন লাল কার্ড। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস দেখলো দুই হলুদ ও একটি লাল কার্ড। বসুন্ধরার লাল কার্ডটি অবশ্য কোনও খেলোয়াড় দেখেননি, দেখেছেন কোচ অস্কার ব্রুজন। তবে জালালের জোড়া গোলে ৩-২ ব্যবধানের জয় তুলে নিয়ে শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বসুন্ধরা, সেটাই মূখ্য বিষয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই গোল পায় বসুন্ধরা। সতীর্থ বখতিয়ারের কাছ থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের জালে জড়ান জালাল। তবে ম্যাচে সব ছাপিয়ে আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে মাঠ ও মাঠের বাইরের বাক-বিতণ্ডা। ম্যাচের ২২তম মিনিটে ম্যাচ রেফারির একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে মাঠ ছেড়ে চলে যান চেন্নাইয়ের ফুটবলাররা। সে সময় প্রায় ১১ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। এ সময় বসুন্ধরা কিংস কোচ অস্কার ব্রুজনের দিকে বল হাতে ছুটে যান ইয়োসা। ম্যাচের ৩২তম মিনিটে চেন্নাইয়ের ফুটবলার ইয়োসাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ৪২ মিনিটে মাশুরের ক্রস থেকে চেন্নাইকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক পেদ্রো হাভিয়ের ক্রুজ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে কিংসের কিরগিজস্তানের মিডফিল্ডার বখতিয়ারকে ফাউল করেন চেন্নাইয়ের এক খেলোয়াড়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মাঠে ঢুকে পড়েন বসুন্ধরা কিংস কোচ অস্কার ব্রুজন। শিষ্যের আঘাত পাওয়ার ক্ষোভে তিনি বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন রেফারি ও চেন্নাই কোচ মোহাম্মদ আকবরের সঙ্গে। ম্যাচ রেফারি বিষয়টি সমাধান করেন দুই কোচকে লাল কার্ড দেখিয়ে। বিরতির পর একের পর এক আক্রমণ করতে থাকা বসুন্ধরা পুনরায় এগিয়ে যায় ৫৮ মিনিটে। কলিন্দ্রেসের ক্রস থেকে ব্যবধানটা ২-১ করেন বখতিয়ার। ৭০ মিনিটে গোল শোধ করে চেন্নাই। একের পর এক আক্রমন চালালেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না কিংসরা। ৮৭ মিনিটে স্বস্তির গোল পায় ব্রুজনের দল। রবিউলের ক্রস থেকে বসুন্ধরাকে জয়সূচক গোল এনে দেন জালাল। এরপর আর গোল না হলে সেমির আশা বেঁচে থাকে কিংসের।

এমএইচবি/এসএমএম