
প্রকৃতির বৃষ্টিকে যেন হার মানাতেই মাঠে প্রতিপক্ষ সাউদাম্পটনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল লেস্টার সিটির খেলোয়াড়রা। একটি-দুইটি নয়, ২০১৫-১৬ মৌসুমে রীতিমতো রূপকথার জন্ম দিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ (ইপিএল) শিরোপা জেতা লেস্টার সিটি প্রতিপক্ষের জালে ৯ বার জালে বল পাঠিয়েছে; ফলাফল ৯-০ গোলের বিশাল জয়।
ইপিএলে ১৯৯৫ সালে ইপসউইচকে ৯-০ গোলে হারিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি, যা লীগ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। ২৪ বছর পর তাদের সেই রেকর্ডে ভাগ বসালো লেস্টার সিটি। যাতে নুল ভূমিকা রাখে জেমি ভার্ডি ও আয়োসা পেরেসের হ্যাটট্রিক। একইসঙ্গে ম্যানসিটিকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে ব্রেন্ডন রজার্সের দল।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সাউদাম্পটনের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ১০ মিনিটেই বেন চিলওয়েলের লক্ষ্যভেদের মধ্যদিয়ে লেস্টারের গোলবৃষ্টি শুরু হয়। এর ২ মিনিট পর পেরেসকে বাজেভাবে ফাউল করেন রায়ান বার্ট্রান্ড। ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য রেফারি বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বার্ট্রান্ডকে লাল কার্ড দেখালে সাউদাম্পটন ১০ জনের দলে পরিণত হয়। তারা সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি।
১৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইউরি টাইলেমানস। দুই মিনিট পর পেরেস গোলের মুখ দেখেন। ৩৯ মিনিটে পেরেস নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে জেমি ভার্ডি গোল করলে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় অতিথিরা। আর এখানেও ম্যানচেস্টার সিটি পাশে নাম লেখায় লেস্টার সিটি। ইপিএলে ২০১০ সালে বার্নলির বিপক্ষে বিরতিতে যাওয়ার আগে ৫ গোল প্রথম কৃতিত্ব দেখিয়েছিল ম্যানসিটি। দ্বিতীয় দল হিসেবে সেই কীর্তি এবার গড়লো লেস্টার।
ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন পেরেস। পরের মিনিটেই গোলের দেখা পান ভার্ডি। ৮৫ মিনিটের মাথায় জেমস ম্যাডিসন এবং ইনজুরি সময়ের ছতিরথ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড ভার্ডি। আর তাতেই ১৩১ বছরের মধ্যে প্রতিপক্ষের মাঠে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড নিয়ে জয় উদযাপন করে লেস্টার।
এই জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে পেছনে ফেলে টেবিলের দুই নম্বরে উঠে এসেছে লেস্টার সিটি। ইপিএলের এটাই তাদের ইতিহাসের সেরা শুরুর ঘটনা;২০১৫-১৬ মৌসুমে শিরোপা জেতার সময়েও দলটির এতো ভালো সূচনা ছিল না ।
৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে এখন পর্যন্ত অপরাজিত থাকা লিভারপুল। সমান ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে ম্যানচেস্টার সিটি।
আরআইএস