
২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ ও একই বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে। তিনি সেটা আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে জানাননি।
এ কারণে তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবকে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসি।
আইসিসির দুর্নীতি-বিরোধী নিয়ম বা অ্যান্টি করাপশন কোড লঙ্ঘনের তিনটি অভিযোগ সাকিব স্বীকার করে নেয়ার পর মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) নিজেদের ওয়েবসাইটে সিদ্ধান্তটি জানায় বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একটি ম্যাচে সাকিব ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান। আইপিএলের ম্যাচটি ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়।
ত্রিদেশীয় সিরিজের কোন কোন ম্যাচে সাকিবকে দুর্নীতির প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল সেটা অবশ্য জানা যায় নি। ত্রিদেশীয় ওই সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ।
ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে ৭৯ রানে হারে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের দেয়া ২২২ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৪২ রানে। সেই ম্যাচে বল হাতে ৫ ওভারে ২০ রানে উইকেটশূন্য থাকেন সাকিব। ইনজুরির কারণে ব্যাট হাতে নামতে পারেন নি।
সানরাইজার্স বনাম পাঞ্জাবের ম্যাচে ব্যাটে-বলে সফল ছিলেন সাকিব। তার দলও জয় পেয়েছিল। ব্যাট হাতে ২৯ বলে ৪ চারে ২৮ রান করেন তিনি। বল হাতে ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। সানরাইজার্স ম্যাচ জেতে ১৩ রানে।
আইপিএলের ২৫তম ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৩২ রান করে সানরাইজার্স। জবাবে ১১৯ রানে অলআউট হয়ে যায় পাঞ্জাব।
এসএমএম