
গত ২১ অক্টোবর বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে চমকে যাওয়ার মতো এক ঘটনার জন্ম হয়েছিল। হঠাৎই আন্দোলনে নেমেছিল দেশের ক্রিকেটাররা। সেদিনের দুপুর যে ক্রিকেটাঙ্গনে চরম উত্তাপ ছড়াবে, তা সকালেও অনেকেরই সুদূর কল্পনাতেও আসেনি।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে অবস্থিত বিসিবি কার্যালয়ের সামনে সংবাদ মাধ্যমের কাছে অগ্নিঝরা সেই ধর্মঘটের ডাক দেন ক্রিকেটাররা। একইসঙ্গে ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন সর্বমোট ১০ ক্রিকেটার। যৌথ বিবৃতির সময় বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম তৃতীয় দফা দাবি উত্থাপনের সময় বিপিএল নিয়ে দেশি ক্রিকেটারদের উপর চলতে থাকা বৈষম্যের কঠোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেছিলেন, আমরা দেখি যে বিপিএলে বিদেশি খেলোয়াড়রা আসে। তাদেরকে অনেক পারিশ্রমিক দেয়া হয়। আর যারা স্থানীয় খেলোয়াড়, তাদেরকে সেইভাবে পারিশ্রমিক দেয়া হয় না। তাদের ন্যায্যমূল্যটা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়রা যেন বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে সামঞ্জস্যভাবে তাদের ন্যায্য মূল্যটা পায়।
বিপিএলে ক্রিকেটারদের গ্রেড নির্ধারণ করার স্বাধীনতা একজন ক্রিকেটারের থাকতে হবে- এমন দাবি করে মুশফিক আরও বলেছিলেন , আপনারা খেয়াল করে দেখবেন বিশ্বের অনেক ফ্রাঞ্চাইজি লীগে খেলোয়াড়রা নিজেদের ড্রাফটে নিশ্চিত করতে পারে যে তিনি কোন গ্রেডে থাকবেন। আমার মনে হয় যে, বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও এমন নিয়ম হওয়া অবশ্যই উচিৎ। তারপর সেটা নিলামে যদি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি কাউকে না নিতে চায়, সেটা তাদের বিষয়। তবে ক্রিকেটারদের গ্রেড নিজেদের ঠিক করা উচিৎ, এই সম্মানটুকু তারা যেন পায়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর নামেই হতে চলেছে বিপিএলের সপ্তম আসর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটাও বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবেই করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, যেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। অথচ এমন আয়োজনের মধ্যেও নাকি থেকেই যাচ্ছে বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেশি ক্রিকেটারদের পার্থক্য; যাকে সবাই এককথায় বলছেন বৈষম্য।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল গণমাধ্যমকে যদিও জানিয়েছেন, পারিশ্রমিকে স্থানীয় ক্রিকেটাররা যেন ক্ষতির শিকার না হয়, তা বিবেচনা করা হবে।পারিশ্রমিকের পার্থক্য কমানো কিংবা সামঞ্জস্য সৃষ্টি; কোনটিকে বিবেচনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ সোহেল তা ব্যাখ্যা করেননি। খেলোয়াড়দের গ্রেড নির্ধারণে স্বাধীনতা থাকবে কি না, সেই বিষয়েও তিনি কথা বলেননি।
আরআইএস