
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভালে ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে যুক্ত হয়েছিল নতুন এক অধ্যায়। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সেই দ্বৈরথটি ছিল ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ।
প্রায় ৪ বছর পূর্ণ হতে যাওয়া দিবারাত্রির টেস্ট এখন পর্যন্ত খেলেছে আটটি দল। বাংলাদেশ, ভারত, আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড এখন পর্যন্ত সাদা পোশাকে গোলাপি বলে ফ্লাড লাইটের আলোর নিচে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করেনি।
আগামী ২২ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেনে অনুষ্ঠেয় টেস্ট ম্যাচে অবশ্য প্রথমবারের মতো দিবারাত্রির টেস্ট খেলার নতুন এক অভিজ্ঞতা অর্জনের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ এবং ভারত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে রাজি হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ভারত সবসময়ই দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচের বিরোধী ছিল। অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া টিম ইন্ডিয়াকে একটি দিবারাত্রির টেস্ট খেলার প্রস্তাব দিলেও বিসিসিআই তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। অথচ বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরের সপ্তাহেই দিবারাত্রির টেস্ট আয়োজন করে ফেলছেন সৌরভ গাঙ্গুলী।
শুধু তাই নয়, এখন আরও এক ধাপ এগিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি নাকি ভারতের মাটিতে প্রতি বছর অন্তত একটি গোলাপি বলের টেস্ট চান।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গাঙ্গুলী বলেন, ‘এটা নিশ্চিত আমরা ভারতের মাটিতে প্রতি বছর একটি দিবারাত্রির টেস্ট আয়োজনের চেষ্টা করবো। ভারতীয় দল যখন বিদেশ সফরে যাবে, আমরা সে দেশের বোর্ডের সঙ্গে কথা বলবো এবং দেখবো একটি দিবারাত্রির টেস্ট খেলা যায় কি না।’
আরআইএস