
দিল্লির দূষণ থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আস্তানা এখন সবুজে ঘেরা রাজকোটে। এখানকার সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের বায়ূতে নির্মলতার ছাপ। সুবাতাসে নিঃশ্বাস নেয়ার পরিস্থিতি বাংলাদেশের এসেছিল দিল্লিতেই, তার বাস্তবিক রূপটা ক্রিকেটাররা পাচ্ছেন রাজকোটে এসে।
চারদিকে যেই অন্ধকার আকাশ ছিল দিল্লিতে, বায়ূতে যেভাবে ছিল দূষণের প্রভাব, চারদিকে ছিল দমবন্ধ পরিবেশ। তা তো ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই প্রতিচ্ছবি। দলে নেই গত এক যুগে নিজেদের অপরিহার্য করে ফেলা সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবাল।
তার মধ্যে অধিনায়ক নেই এমন এক কারণে, যা বিষণ্নতা বাড়ায় আরও। এর আগের এক সপ্তাহও কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটে। ধীরে ধীরে তাই বাংলাদেশের ক্রিকেট আকাশে মেঘ জমেছিল অনেক। তবে সব যেন উবে গেছে এক ফুৎকারে।
চারদিকের সব শঙ্কা আর অনিশ্চয়তাকে উড়িয়ে দিয়ে আফিফ-বিপ্লবদের তারুণ্যের শক্তি আর মুশফিক-রিয়াদদের চওড়া কাঁধ দেখিয়েছে ‘আমরাও পারি’। তাতেই বদলে গেছে পরিসংখ্যানও। বারবার দোরগোড়ায় গিয়ে আটকে পড়ার যন্ত্রণাতেও মলম লাগানো গেছে।
দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে পরিসংখ্যানটা যেখানে ছিল ৮-০। সেটাকে করা গেছে ৮-১। ভারতকে তাদের মাটিতেই টি-টুয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো হারিয়েছে বাংলাদেশ। এবারের চ্যালেঞ্জটা আরও বড়। বৃহস্পতিবার টাইগাররা নামছে নিজেদের সিরিজ নিশ্চিতের মিশনে।
তবে তাতেও আছে নতুন এক আশঙ্কা। ম্যাচকে পণ্ড করতে ইতোমধ্যেই হুমকি দিয়ে রেখেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মহা’। প্রকৃতির এই বিপদ যদি পাশ কাটিয়ে যায়। আর বাংলাদেশ যদি জয় পেয়ে যায় ভারতের বিপক্ষে, জিতে যায় সিরিজ। তাহলে ভারতের ক্রিকেটে নেমে আসবে অদৃশ্যে এক ঘূর্ণিঝড়, আর বাংলাদেশের? আগুনের উত্তাপের পরের হিমেল হাওয়া।