
ভিএআর বা ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি প্রযুক্তির ব্যবহারে সিদ্ধান্ত কখনো কোনো দলের পক্ষে যায়, কখনো বিপক্ষে যায়। খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে রেফারিকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে এই প্রযুক্তি।
তবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে (ইপিএল) ভিএআর বা ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। লীগ কাপ ও এফএ কাপের পর ইপিএলে এবারই প্রথম ব্যবহৃত হচ্ছে এই প্রযুক্তি।
ইপিএলের লিভারপুল ও ম্যানচেষ্টার সিটির লড়াইয়ে ভিএআরের সিদ্ধান্ত নিয়ে জোরালোভাবে সমালোচনা হয়েছে। ফ্যাবিনহোর প্রথম গোলের বিল্ডিংয়ে আর্নর্ল্ডের হ্যান্ডবল ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। সিটিজেনদের একাধিকবার হ্যান্ডবলের আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি, পেনাল্টি পায়নি ম্যানসিটি। সিটিজেন ফ্যানদের সাথে আফসোসে পুড়েছেন কোচও।
এর আগে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ভিএআর প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা করেন লিভারপুলের কোচ জুর্গেন ক্লপ।
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডে নিয়নে অনুষ্ঠিত হয়েছে উয়েফা কোচেস মিটিং, সেখানেও আলোচনায় আসে ভিএআর টপিক। কোচেস মিটিংয়ে কোচরা স্পষ্টভাবেই বলে দিয়েছেন, তারা এই প্রযুক্তির আরও উন্নতি চান।
রোমা কোচ পাওলো ফনসেকা বলেন, আমরা এটা নিয়ে আলাপ করেছি কিন্তু সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। পরিস্থিতি কঠিন, ভিএআরের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি খুঁজে বের করা সত্যিই কঠিন।
অলিম্পিক লিও'র কোচ রুডি গার্সিয়া বলেন, ভিএআর মজার প্রযুক্তি, আমি মনে করি এটা ছাড়া ফুটবল প্রাগৈতিহাসিক পর্যায়ে চলে যাবে। তবে এটা ভালোভাবে জেনেই ব্যবহার করতে হবে, এটা রেফারিদের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।
উয়েফার কম্পিটিশন ডিরেক্টর জর্জিও মার্চেত্তি বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে ভিএআর নতুন প্রযুক্তি। ফুটবল সংশ্লিষ্ট সবার বিষয়টা বোঝা জরুরি। ফুটবলে এটা একটা বিপ্লব। ভিএআর খেলায় সাহায্য করবে কিন্তু ফুটবলকে বদলে দেবে না।
আরআইএস