
ইন্দোর টেস্টের তৃতীয় দিনেই ভারতের বিপক্ষে ইনিংস পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে চা বিরতি পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান করেছে। মুশফিকুর রহিম নিজের ফিফটি তুলে নিয়ে ৫৩ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন। সপ্তম উইকেটে এই দুই ব্যাটসম্যান ৫৬ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় হলকার স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হয়। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানের জবাবে ভারত ইন্দোর টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যাটিং করতে না নেমে ৬ উইকেটে ৪৯৩ রানে তাদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। আর তাই দিনের শুরুতেই ৩৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে মুমিনুল হকের দল।
১৬ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে বসা সফরকারীরা শুরুতেই চাপে পড়ে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস এবং সাদমান ইসলাম ব্যক্তিগত ৬ রান করে আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও এই দুই ব্যাটসম্যান ব্যক্তিগত ৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত গেছেন। কাকতালীয় ঘটনার এখানেই শেষ নয়, প্রথম ইনিংসের মতো ইমরুল দ্বিতীয় ইনিংসেও আউট হয়েছেন উমেশ যাদবের বলে। পার্থক্য এটুকুই, আগের ইনিংসে ধরা পড়েছিলেন আজিঙ্কা রাহানের হাতে; পরের ইনিংসে হয়েছেন বোল্ড। সাদমান ইসলাম আগের ইনিংসে ইশান্ত শর্মার বলে ঋদ্ধিমান সাহার গ্লাভসে ধরা পড়েছিলেন। এবার সাদমান একই বোলারের বলে হয়েছেন বোল্ড।
দলীয় ৩৭ রানের মাথায় মোহাম্মদ শামির বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়ে মাত্র ৭ রান করেই ফেরেন মুমিনুল। আম্পায়ার আউট না দিলেও বিরাট কোহলি রিভিউ নিলে দেখা যায় বল স্টাম্পে আঘাত হেনেছিল। তাই আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হন। বাংলাদেশের রান যখন ৪৪, তখন শামির করা শর্ট বলে দেরিতে পুল করায় টাইমিংয়ে মিঠুনের গড়বড় হয়ে যায়। শর্ট মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা মায়াঙ্ক আগারওয়াল সহজ ক্যাচ নিলে মিঠুন ১৮ রান করে ক্রিজ ছাড়েন।
লাঞ্চ বিরতির পর দলীয় ৭২ রানের মাথায় মোহাম্মদ শামির করা সুইং বলটি পিচ করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মাহমুদউল্লাহ তা অনায়াসে ছেড়ে দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তিনি ব্যাট পেতে দিলে সেখানে বল লেগে সরাসরি চলে যায় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা রোহিত শর্মার হাতে। মাত্র ১৫ রান করে মাহমুদউল্লাহ নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসলে ইনিংস পরাজয় যেন সররকারীদের আরও সন্নিকটে এসে পৌছায়।
এরপর ষষ্ঠ উইকেটে লিটন দাসকে নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে খানিকটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন মুশফিক। দ্রুতই এই দুই ব্যাটসম্যান ৬৩ রান যোগ করেন। পরে লিটন ৬ চারে ৩৯ বলে ৩৫ করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন। অশ্বিন একটু টেনে বল করায় লিটন বলের পিচ পর্যন্ত যেতে ব্যর্থ হন। উড়িয়ে খেলতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচে ফিরে যান।
আরআইএস