
চট্টগ্রাম ধাক্কাটা খেয়েছিল একেবারে শুরুতেই। স্কোরকার্ডে কোনো রান তোলার আগেই সাজঘরে ফেরত গিয়েছিলেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাদিকুর রহমান। এরপর চট্টগ্রামের সংগ্রহ যখন ১৩ রান, তখন পিনাক ঘোষকে অমিত হাসানের ক্যাচ বানিয়ে শুরু রুহেল আহমেদ ঝড়ের।
সেই স্পেলেই তুলে নেন আলভি হককে। পরের স্পেলে যে ভয়ংকর বোলিং করেন রুহেল, তার জন্য নিশ্চিতভাবেই প্রস্তুত ছিল না চট্টগ্রাম। ওই স্পেলে একে একে চট্টগ্রামের ৬ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মাত্র তৃতীয় প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে নামা রুহেল।
তাসামুল হককে ২১ রানে অমিতের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন সিলেটের এই পেসার, মাসুম খানকেও রেজাউরের হাতে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন। এছাড়া বাকি ৪ ব্যাটসম্যানের তিনজনকে বোল্ড ও একজনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ১৮ বছর বয়সী এই পেসার।
দেশিয় ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কোনো পেসারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। রুহেল ভেঙেছেন সাত বছর আগে গড়া তালহা জুবায়েরের রেকর্ড। ২০১২ সালে রংপুরের বিপক্ষে ঢাকা মেট্রোর পেসার তালহা ৩৫ রানে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট।
এমএইচবি