
ক্রিকেটের কুলীন ফরম্যাটে বাংলাদেশের পথচলা প্রায় দুই দশকের । ওই সময় যাদের জন্ম হয়নি, তারাও এখন কৈশোর পেরিয়ে হাঁটছেন তারুণ্যের পথে। অথচ বাংলাদেশের ক্রিকেট সাদা পোশাকে দিন দিন যেন হয়ে উঠছে ‘শিশু’। কেবল মাঠের ক্রিকেটই নয়, কয়জন ক্রিকেটারের আদৌ টেস্ট খেলার ইচ্ছা আছে তাই কাঠগড়ায় উঠছে হরহামেশাই।
আরও একবার যা করতে বাধ্য করেছে ভারতের বিপক্ষে খেলা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। স্কিলের মতোই যেখানে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে মানসিকতার ফারাক। দুই ম্যাচেই তাই হতে হয়েছে বিধ্বস্ত, হারতে হয়েছে ইনিংস ব্যবধানে। এই সংস্করণের নবীনতম অধিনায়ক মুমিনুল হকেরও সহজ স্বীকারোক্তি,‘আমরা টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় দুর্বল দল।’
ইন্দোরে প্রথম টেস্টে তিন দিনে ইনিংস ব্যবধানে হার আড়ালে ঢাকা পড়েছিল ইডেনের ম্যাচের আগে গোলাপি উৎসবে। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের জন্যই প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টে ব্যবহৃত গোলাপি বল পরিবর্তন হয়ে এসেছে প্রাচীন সাদা পোশাকের লাল বল থেকে। দুই বলের মধ্যে পার্থক্যটা কী?
মুমিনুলের জবাব, ‘আমার কাছে মনে হয় লাল বল আর গোলাপি বল এক না, লাল বলের চেয়ে গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জটা বেশি থাকে। বিশেষ করে নতুন বলে চ্যালেঞ্জটা বেশি। আমরা যদি নতুন বলের চ্যালেঞ্জ নিতে পারতাম, আপনি দেখেন যে শেষের দিকে যখন শিশির পড়ার পর শুরু হলো তখন জিনিসটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। আমার কাছে মনে হয় পিংক বলে নতুন বলের চ্যালেঞ্জটা বেশি, যেটার চ্যালেঞ্জটা নিতে পারিনি যে কারণে পিছিয়ে গেছি।’
এই ম্যাচের টস জিতে মুমিনুলের ব্যাটিং বেছে নেয়া উঠেছে কাঠগড়ায়। তা উঠিয়েছেন খোদ বিসিবি সভাপতি। মুমিনুল কী বলবেন এই ব্যাপারে? তার ভাষায়, ‘উনি (বিসিবি প্রেসিডেন্ট) হয়তো বলেছেন, আমি তো সামনে ছিলাম না। এটা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। এটা বলার জন্য আমি সঠিক ব্যক্তি না।
ম্যাচ হারা প্রসঙ্গে টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় আমরা টিম হিসেবে খেলতে পারি নি। ব্যাটিং বলেন বোলাররা ভালো বল করেছে। আমার মনে হয় উন্নতি করার অনেক জায়গা আছে, সেগুলো উন্নতি করতে পারলে সামনে অনেক টেস্ট ম্যাচ আছে ভালো করতে পারবো।’
দলের সঙ্গে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। পুরো সিরিজ জুড়ে বাজে খেলে শেষ ম্যাচে তো গড়ে ফেলেছেন বাজে এক রেকর্ডও। হাবিবুল বাশার সুমনের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে দুই ম্যাচেই ডাক মেরেছেন। যাকে ক্রিকেটীয় পরিভাষায় বলা হয় ‘পেয়ার’। আর তাতে কমে গেছে মুমিনুলের গড়ও।
মুমিনুল অবশ্য এসব নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না, ‘আমি এভারেজ নিয়ে এত মাথা ঘামাচ্ছি না, দল খারাপ করেছে এটা নিয়ে ভাবছি। যখন খারাপ করে তখন সবারই খারাপ লাগে। হয়তো আমি স্ট্রাগল করছি, স্ট্রাগল মানুষকে ভালো কিছু দেয়। আপনারা সবাই অবগত যে টেস্ট হয়তো খেলা হয় না, আমার কাছে মনে হয় সামনে অনেক টেস্ট ম্যাচ আছে প্রায় ১০টা টেস্ট ম্যাচ আছে। আমরা যখন একসাথে অনেক টেস্ট ম্যাচ খেলব, আপনি যে প্রশ্নটা করেন সেটা আস্তে আস্তে ওভারকাম হবে।’
এমএইচবি