
শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে থাকার পরও মাত্র ৭ মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল দিয়ে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ের সুবাতাস পেতে শুরু করেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু চরম নাটকীয় ম্যাচের শেষ দৃশ্যটি যেন নিয়তি অন্যরকমভাবেই লিখে রেখেছিল। আর তাই নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ভিএআরের সহায়তায় শেফিল্ড আবারো গোলের দেখা পেলে ছয় গোলের ম্যাচে কেউ জয়ের দেখা পায়নি।
রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে শেফিল্ড ইউনাইটেডের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তাদের বিপক্ষে ৩-৩ ড্র করে মাঠ ছাড়ে পয়েন্ট টেবিলের নবম স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। গোটা ম্যাচে হওয়া ছয় গোলের পাঁচটিই হয় দ্বিতীয়ার্ধে।
ম্যাচের ১৯ মিনিটে লান্ডস্ট্রামের বক্সের ভেতর থেকে করা শট ম্যানইউ গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া প্রতিহত করলেও ফিরতি বলে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন জন ফ্লেক।
বিরতির পর ৫২ মিনিটের সময় পাল্টা আক্রমণ থেকে জন ফ্লেকের বাড়ানো বল আদায় করে ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের জোরালো নিচু শটে লেস মুসেট গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
৭২ মিনিটের মাথায় ড্যানিয়েল জেমসের ক্রস শেফিল্ড ডিফেন্ডার হেড করে বল পেছনে পাঠালে তা পেয়ে যান ব্র্যান্ডন উইলিয়ামস। ১৯ বছর বয়সী এই ইংলিশ ডিফেন্ডার জোরালো হাফ ভলিতে লক্ষ্যভেদ করে রেড ডেভিলদের হয়ে ব্যবধান কমান।
পাঁচ মিনিট পর মার্কাস র্যাশফোর্ডের দারুণ ক্রসে বল নিয়ে স্লাইড করে পা পায়ের স্পর্শে তা জালে পাঠিয়ে দেন ১৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ম্যাসন গ্রিনউড। আর তাতেই ম্যাচ জমে ওঠে।
৭৯ মিনিটে ড্যানিয়েল জেমসের কাটব্যাক থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে ডি বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ের শটে ইংলিশ ফরোয়ার্ড মার্কাস র্যাশফোর্ড গোল করে বসলে রেড ডেভিলরা হারতে বসা এক ম্যাচ জয়ের রাস্তায় হাঁটতে থাকে।
তবে শেফিল্ড ইউনাইটেড ছেড়ে দেয়ার পাত্র নয়। বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচের শেষ মিনিটে কালাম রবিনসনের পাসে জটলার ভেতর থেকে বল পেয়ে শেফিল্ডের ফরোয়ার্ড অলিভার ম্যাকবার্নি গোল করলেও বাকি ছিল ভিএআর নাটক। বাঁ দিক থেকে আসা বল নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তা ম্যাকবার্নির বাহুতে লাগে। অবশ্য ভিএআরে অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত আসেনি। গোলের পক্ষেই রায় দেন রেফারি।
এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে ৪ জয় ও ৬ ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে নবম স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৩৭। ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লেস্টার সিটি। তিনে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ২৮। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে চেলসি। পাঁচ নম্বরে থাকা উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সের পয়েন্ট ১৯। শেফিল্ডের সমান ১৮ পয়েন্ট বার্নলি ও আর্সেনালেরও। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে যথাক্রমে সাত ও আট নম্বরে আছে দল দুটি।
আরআইএস