
অ্যানফিল্ডে নাপোলির বিপক্ষে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নক আউট পর্বে খেলার টিকেট পেয়ে যেতো লিভারপুল। কিন্তু বিতর্কিত গোল হজমের কারণে পয়েন্ট হারিয়ে এখন জুর্গেন ক্লপের দলকে পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হলো।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত ই গ্রুপের ম্যাচের ২১ মিনিটে জিওভান্নি ডি লরেঞ্জোর লম্বা পাস থেকে বল পেয়ে বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড দ্রিস মের্টেন্স অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ডান প্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে প্রবেশ করে দূরহ কোণ থেকে নেয়া ডান পায়ের শটে গোল করে নাপোলিকে লিড এনে দেন।
যদিও এই গোল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। গোলের আগে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন লিভারপুল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক। কিন্তু রেফারি খেলা থামাননি। গোলের পর ভিএআরের সহায়তা নিয়েও আগের সিদ্ধান্তই অপরিবর্তিত থাকে।
প্রথমার্ধে আক্রমণে তেমন সুবিধাই করতে পারেনি লিভারপুল। নাপোলির ৩-৫-২ ফরমেশন ভাঙতে সালাহ-মানেদের বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে সমতাসূচক গোলের দেখা পায় অলরেডরা। ৬৫ মিনিটের সময় জেমস মিলনারের কর্নার কিক থেকে বল নিয়ে হেডে বল জালে জড়িয়ে অ্যানফিল্ডের দর্শকদের মাঝে স্বস্তি এনে দেন ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার দেজান লোভরেন।
গোল পাওয়ার পর ম্যাচের বাকিটা সময় নাপোলির রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ করে লিভারপুল। যদিও শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে বিশ্রামে থাকা মোহামেদ সালাহ নাপোলির বিপক্ষে একাদশে ফিরলেও ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়া ফ্যাবিনহোর মাঠ ছাড়ার দিনে তাদের আর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সালসবুর্কের মাঠে ড্র করলেই শেষ ষোলোয় পৌঁছে যাবে অল রেডরা। অবশ্য হেঙ্কের বিপক্ষে নাপোলি হেরে গেলে নিজেদের শেষ ম্যাচে হারলেও নক আউট পর্বে পা রাখতে পারবে লিভারপুল।
এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নাপোলি। তিন নম্বরে থাকা সালসবুর্কের পয়েন্ট ৭। ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে হেঙ্ক।
আরআইএস