
ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা কিংবদন্তিদের একজন হিসেবে অনেক আগেই নিজের আসনকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ব্রায়ান লারা। টেস্টে ১২,০০০ রান করার পাশাপাশি লারা দুইবার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর গড়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। প্রথমে গ্যারি সোবার্সের ৩৬৫ রানের রেকর্ড ভেঙে ৩৭৫ করার পরে ম্যাথু হেইডেন সর্বোচ্চ টেস্ট রানের রেকর্ড গড়েন ৩৮০ করে। লারা অপরাজিত ৪০০ রানের ইনিংস খেলে সেই রেকর্ড ফের নিজের দখলে আনেন।
সেই লারা যখন ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের নিয়ে মন্তব্য করেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই তা যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারেই বিবেচনায় নিতে হয়। এবার তিনি কথা বলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে নিয়ে; যার পারফরম্যান্স ক্যারিবীয় কিংবদন্তিকে মুগ্ধ করে চলেছে।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে লারা বলেন, কোহালির দায়বদ্ধতা দেখে তার প্রতি শ্রদ্ধায় মনে ভরে ওঠে। লোকেশ রাহুল বা রোহিত শর্মার চেয়ে প্রতিভায় এগিয়ে না থাকলেও পরিশ্রম এবং সাধনায় বিরাট সকলকে পেছনে ফেলে দিচ্ছেন। ঠিক যেমন ফুটবলের মঞ্চে করেছেন রোনালদো।
রোনালদোর সঙ্গে কোহালির তুলনা অবশ্য আগেও হয়েছে। মূলত দুইজনের হার না মানা মনোভাব, আগ্রাসী মানসিকতা, লিওনেল মেসির মতো দারুণ প্রতিভাসম্পন্ন না হয়েও নিজেকে নিংড়ে দিয়ে সাফল্য তুলে আনার সংগ্রামী জীবনকাহিনীর জন্যই এই তুলনা চলে আসছে। স্বয়ং কোহলিরও অন্যতম প্রিয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব সিআর সেভেন।
কোহলি বন্দনা করতে গিয়ে এখানেই থামেননি লারা। তিনি বলেন, বিরাটের দায়বদ্ধতা অতুলনীয়। ওর প্রস্তুতির ধরণও অসাধারণ। যে রকম সাধনা নিয়ে ও নিজেকে তৈরি করে, তা শিক্ষণীয়। ওর মানসিক শক্তি আর শারীরিক সক্ষমতা অবিশ্বাস্য! যেকোনো যুগের শ্রেষ্ঠ দলে হেসেখেলে ঢুকে পড়তেন বিরাট। হোক সেটা সত্তর দশকের লয়েডের সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যাদের নামকরণ হয়েছিল ‘আনবিটেবল্স’ বা ১৯৪৮-এ ব্র্যাডম্যানের ‘ইনিভিনসিবলস’ দল।
সূত্র : আনন্দবাজার
আরআইএস