
দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান রাইলি রুশোর ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কাছে পাত্তাই পায়নি রংপুর রেঞ্জার্স। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের স্বাদ পাওয়া উত্তরবঙ্গের দলটি টানা ৪ ম্যাচে হেরে এখন পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে অবস্থান করছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৭ রান করে রংপুর। জবাবে রূপসা পাড়ের দলটি ৪৫ বল হাতে রেখে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা রংপুরের শুরুটা ভালো হয়নি। মোহাম্মদ আমিরের শিকার হন মোহাম্মদ শাহজাদ। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে না ওঠার আগেই শফিউল ইসলামের উইকেট হয়ে ফেরেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। সেই রেশ না কাটতেই একই বোলারের বলে সাজঘরের পথ ধরেন নাদিফ চৌধুরী।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর। তবে একপ্রান্ত আগলে থাকেন নাঈম শেখ। ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। সঙ্গ পেয়ে দারুণ খেলেন বাঁহাতি ওপেনার। ব্যাটে ছোটান স্ট্রোকের ফুলঝুরি। তবে সতীর্থের সঙ্গে ক্ষণিকের ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি।
মাত্র ১ রানের জন্য আসরে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিতে পারেননি নাঈম। ৩২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৯ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি। এতে ফের চাপে পড়ে উত্তরবঙ্গের দলটি। এ অবস্থায় আস্থার প্রতিদান দিতে পারেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। মোহাম্মদ আমিরের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর লুইস গ্রেগরিকে নিয়ে খেলা ধরেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। ধীরে ধীরে এগিয়ে যান তারা। দুর্দান্ত খেলেন মাহমুদ। যথার্থ সমর্থন দেন গ্রেগরি। তাতে মাঝারি স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকে রংপুর। তবে শফিউল ইসলামের বলে ফজলে ফিরতেই তা ভেস্তে যায়। ফেরার আগে ৩৩ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৪২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি।
খানিক পর রানআউটে ফিনিশ হন তাসকিন আহমেদ। সেই জের না কাটতেই শহিদুল ইসলামের বলে ক্লিন বোল্ড হন মোস্তাফিজুর রহমান। আর ইনিংসের শেষ বলে একই বোলারকে উইকেট দিয়ে আসেন গ্রেগরি। তিনি ২০ বলে ২ চারে করেন ২২ রান।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৭ রান করে রংপুর। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ম্যাচ সেরা শফিউল ইসলাম।
জবাবে খুলনা ওপেনার রাহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে চড়ে উড়ন্ত সূচনা পায়। দলীয় ২৪ রানের মাথায় নাজমুল হোসেন শান্ত বিদায় নিলেও রাইলি রুশো ক্রিজে নেমে রংপুরের বোলারদের উপর আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে গুরবাজ যখন ২২ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কার মারে ৩৩ রান করে আউট হন, তখনই খুলনার দলীয় সংগ্রহ ৮৫ রান। দ্বিতীয় উইকেটে রুশো-গুরবাজ জুটি যোগ করেছিলেন ৬১ রান।
অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে বাকি কাজটুকু অনায়াসে সেরে নিয়ে ৩১ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কার মারে ৬৬ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন রুশো। মুশফিক ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন এবং তার ব্যাটেই জয়সূচক রানটি আসে।
রংপুরের পক্ষে একটি করে উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান ও মুকিদুল ইসলাম অঙ্কন।
আরআইএস