
এবারের বিপিএলে দুইটি দলই ছিল এক ম্যাচও জিততে পারেনি এমন। অবশেষে শনিবারই ঘুচলো সে আক্ষেপ। জিতলো সিলেট থান্ডার্স ও রংপুর রেঞ্জার্স। দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনাকে হারিয়ে প্রথম জয় পায় সিলেট থান্ডার্স। আর দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী চট্টগ্রামকে হারিয়ে রংপুর রেঞ্জার্সও পায় টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা।
ঘরের মাঠে উড়ছিল চট্টগ্রাম। প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জার্সরা হোম ভেনুত্যে নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরেছে রংপুর রেঞ্জার্সের কাছে। চট্টগ্রামের দেওয়া ১৬৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ৬ উইকেট হাতে রেখে সহজেই টপকে যায় রংপুর। এতে আসরের নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে গিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় মুস্তাফিজ-তাসকিনরা।
এর আগে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সাগরিকায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রামের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে রানের খাতা খোলার আগেই মুস্তাফিজুর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ওপেনার লেন্ডল সিমন্স।
সিমন্সের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্টলার দলটি। আরেক ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি রংপুরের বোলারদের সামনে।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান তোলে চট্টগ্রাম। ৪০ বলে ৭২ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস উপহার দেন আভিস্কা। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮টি চার ও ৪টি ছয়ের মারে।
এছাড়া নুরুল হাসান সোহান ২০ ও চ্যাডউইক ওয়াল্টন করেন ১৬ রান। শেষের দিকে ১২ বলে ১৭ রানের কার্যকরী একটি ইনিংস খেলেন লিয়াম প্লাংকেট।
রংপুরের সফলতম বোলার মুস্তাফিজুর রহমান ২৩ রান খরচায় নেন দুই উইকেট। লুইস গ্রেগরিও দুটি উইকেট নেন, ৪ ওভারে তিনি রান দেন ২৭।
মৌসুমে টানা চার ম্যাচ হেরে প্রথম জয়ের স্বপ্ন দেখছে রংপুরের দলটি। অপরদিকে নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচে পাঁচটিতেই জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
এমএইচবি