
বাইলজ অনুসরণ না করে ইচ্ছা মতো নিয়মনীতি আরোপের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিটনের (সিসিডিএম) বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের দল সোনার বাংলা ক্রীড়াচক্রের কো-অর্ডিনেটর আলী আহমেদ সাধু এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন, সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম, সদস্য সচিব কো-অর্ডিনেটর আলী হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সোনার বাংলা ক্রীড়াচক্র সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রেজিস্টার এ ডি করে বিসিবি ও সিসিডিএমে ওই আইনি নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।
সোনার বাংলা ক্রীড়াচক্র ক্লাব জানায়, এবারের তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে সিসিডিএম দুইবার দুই রকম বাইলজ করেছে। প্রথমে বলা হয়েছে, দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে সর্বাধিক সংখ্যক জয়ের বদলে ‘হেড টু হেডে’ ধরা হবে। সেভাবেই প্রথম লীগ থেকে চারটি করে আট দলকে নিয়ে সুপার লীগ করা হয়েছে। কিন্তু লীগ টেবিলের রানার্সআপ নির্ধারণের সময় আবার সেই আইন পাল্টে সর্বাধিক সংখ্যক জয়কে মানদণ্ড ধরার কথা বলা হয়েছে। তাতে করেই সোনার বাংলা ক্রীড়াচক্রের তৃতীয় বিভাগ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে ওঠার পথ রুদ্ধ হয়েছে।
গ্রুপ পর্বে দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে যে দল বেশি ম্যাচ জিতেছে, তাকেই ওপরে ধরা হয়েছে। কিন্তু যখনই রানার্সআপ নির্ধারণী পর্ব চলে এসেছে, তখন আবার সেই নিয়ম পাল্টে বলা হচ্ছে, ‘হেড টু হেড’কেই মানদণ্ড ধরে উন্নীত করা হবে।
তৃতীয় বিভাগ লিগের সর্বশেষ লীগ টেবিলে সোনার বাংলা ক্রীড়াচক্র আর গুলশানের পয়েন্ট সমান সমান হয়ে গেছে। এখন জয়ের সংখ্যার বিচারে গুলশান এক ম্যাচ বেশি জিতেছে সোনার বাংলা কেসির চেয়ে। কিন্তু ‘হেড টু হেডে’-এ আবার এগিয়ে সোনার বাংলা।
যেহেতু প্রথম লীগে ‘হেড টু হেড’ ধরা হয়েছে, তাই সোনার বাংলা ক্রীড়াচক্রের ধারণা ছিল, লীগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থান নির্ধারণেও ওই নিয়ম অনুসরণ করা হবে। কিন্তু এখন সিসিডিএম থেকে বলা হচ্ছে, সর্বাধিক জয়কে বিবেচনায় আনা হবে। বেশি ম্যাচ জয়ের সুবাদে সোনার বাংলাকে টপকে গুলশানকে দ্বিতীয় বিভাগে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অবশ্য সোনার বাংলা ক্রীড়াচক্রের দাবি, এ সিদ্ধান্তটা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি। ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিসিবি ও সিসিডিএমের কাছে বারবার বলছি তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের চূড়ান্ত পয়েন্ট টেবিল ঘোষণা করতে এবং আমাদের রানার্সআপ হিসেবে নিয়ম মেনে দ্বিতীয় বিভাগে উন্নীত করতে। কিন্তু সিসিডিএম নীরব। আমরা বাধ্য হয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি।’
আরআইএস