
বাংলাদেশ-ভারত দিবা-রাত্রি টেস্টে ইডেনে সম্প্রচারের সময় লাইভ টিভিতে অপর ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলেকে অসম্মান করে খোঁচা দিয়েছিলেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হতে হল মাঞ্জরেকারকে। এতোদিন পর নিজের ভুল স্বীকার করেছেন এবং সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলেন ২০১৯ সাল ছিল তাঁর ধারাভাষ্য ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে বছর।
ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক সাক্ষাৎকারে ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলেন,
‘ওই বিশেষ মন্তব্যের সময় আমি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলাম। অপেশাদারের মতো কাজ করেছিলাম। ভুল করেছিলাম। আর এটার জন্য আমি অনুতপ্ত। কষ্টের ব্যাপার হলো নিজের আবেগের দ্বারা চালিত হয়েছিলাম আমি। যা একেবারেই অপেশাদারিত্ব, কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অশোভনও। ভুল করেছি বুঝতে পেরেই আমি প্রযোজকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলাম। কারণ কাজটা করা ঠিক হয়নি।’
এই সাক্ষাৎকারে মাঞ্জরেকার আরও বলেন,
“১৯৯৭-৯৮ সালে এই পেশায় এসেছিলাম। প্রায় ২০-২১ বছর হয়ে গেল। তবে বিশেষজ্ঞ ও কমেন্টেটর হিসেবে এই বছর সবথকে খারাপ কেটেছে।”
কোলকাতার ইডেনে বাংলাদেশ-ভারত গোলাপি টেস্টের সময় সঞ্জয় মাঞ্জরেকার আবার বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন সহ ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের সঙ্গে। ম্যাচ সম্প্রচারের সময় গোলাপি বলের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনায় মেতেছিলেন দুই ধারাভাষ্যকার।
সেই সময়েই বলের দৃশ্যমানতা প্রসঙ্গে হার্শা ভোগলে জানান, “বলের পোস্ট মর্টেম করা হলে দৃশ্যমানতার বিষয়টি দেখতে হবে।”
মাঞ্জরেকার অবশ্য ভোগলেকে প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন, “আমার মনে হয়না, এটা কোনও ইস্যু।”
তারপরেই ভোগলের সংযোজন বক্তব্য ছিল, “ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসা করতে হবে এই বিষয়ে ওদের বক্তব্য কী!”
এরপরে মাঞ্জরেকার খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ‘হার্শা, শুধু তোমারই এটা জিজ্ঞেস করে দেখতে হবে। আমরা যারা ক্রিকেট খেলেছি তাদের এটা জিজ্ঞেস করার দরকার নেই। এটা স্পষ্ট যে বল ভালমতোই দেখা যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে কোনোদিনই সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেননি। বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করার পাশাপাশি তিনি ক্রিকেট ধারাভাষ্যের সঙ্গে জড়িত হন। এভাবেই ক্রিকেট অঙ্গনে তার আগমন।