
২০১৯ সাল শেষে প্রায় ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতির ঘোষণা দিয়েছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবগুলোর প্রকাশিত আর্থিক ফল অনুযায়ী এই তথ্য পাওয়া গেছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লীগে চেলসির ব্যর্থতাই এই ক্ষতির মূল কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় এবার টার্নওভার কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন পাউন্ড। এছাড়া কেপা আরিবাজাবালাগা, ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ, মাতেও কোভাচিচ ও জর্জিনহোর মতো তারকাদের পাশাপাশি স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে নতুন কোচ নিয়োগের কারণে প্রায় ৯৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতি হয়েছে বলে সূত্র উল্লেখ করেছে।
চেলসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ক্লাবটির চেয়ারম্যান ব্রুস বাক বলেছেন, ‘ধারাবাহিক রাজস্ব বৃদ্ধি ও আর্থিক বিষয়াদি সাবধানতার সঙ্গে পরিচালনার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ট্রান্সফার মার্কেটে বড় অর্থ ব্যয় করতে পেরেছে চেলসি। ফলে ২০১৮-১৯ মৌসুমে আরেকটি ইউরোপা লীগের শিরোপা ক্লাবটি ঘরে এসেছিল। একইসঙ্গে ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় আবারো ফিরে আসতে পেরেছিল ব্লুরা।’
ব্রুস বাক বলেন, আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণেই ফ্র্যাংক ল্যাম্পার্ডের অধীনে একটি তরুণ দল গঠনে পুরো ক্লাব সাহস দেখিয়েছে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বর্তমানে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ২১ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে চেলসি।
আরআইএস