উয়েফা বর্ষসেরা খেলায়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকাতে লিওনেল মেসির নাম। ২০২২-২৩ মৌসুমের সেরা ফুটবলার নির্বাচনে সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে উয়েফা।
ইউরোপ ছেড়ে আমেরিকা, পিএসজি ছেড়ে ইন্টার মায়ামি। সব ছাড়লেও ইউরোপ যেনো ছাড়তেই চাচ্ছে না লিওনেল মেসিকে। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটিয়েছেন ক্ষুদে জাদুকর। পিএসজিতে নিজের সেরা ফর্মে না থাকলেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো লিগ ওয়ানের শিরোপা জিতেছেন। এবার উয়েফা বর্ষসেরা খেলায়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও জায়গা পেলেন মেসি।
নামটা যখন মেসি তখন বিশ্বের প্রতিটি কোনায় সেটা উচ্চারিত হবে এটাই তো স্বাভাবিক। আগের মৌসুমের পারফরম্যান্সের বিচারে ইউরোপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে জায়গা পেয়েছেন ক্ষুদে জাদুকর।
উয়েফার তিনজনের সে লিস্টে মেসির সাথে আছেন কেভিন ডি ব্রুইনা আর আর্লিং হলান্ড। ৩১ অগাস্ট জানানো হবে বর্ষসেরা ফুটবলারের নাম।
জাতীয় দল আর ক্লাবের হয়ে গত মৌসুমটা দারুণ কাটিয়েছেন লিও। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করা, সেই সাথে ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে জোড়া গোলসহ করেছেন মোট ৭ গোল। টুর্নামেন্ট সেরাও হয়েছেন। বিশ্বের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন মেসি।
পিএসজির নিজের সেরা ফর্মে না থাকলেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো লিগ ওয়ানের শিরোপা জেতেন মেসি। ফরাসি ক্লাবটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকে। ইউরোপ সেরার মঞ্চে মেসি ৭ ম্যাচে চারটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন চারটি।
মৌসুমে ট্রেবল জয় করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ক্লাবটির হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর এফএ কাপ জেতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন কেভিন ডি ব্রুইনা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০ গোল আর ৩১ অ্যাসিস্ট করেন এই বেলজিয়ান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০ ম্যাচে গোল করেন দুটি, আর গোল করান ৭টি।
ডি ব্রুইনার সতীর্থ আর্লিং হলান্ডের জন্য মৌসুমটা ছিল স্বপ্নময়৷সিটিতে যোগ দিয়ে ইংলিশ ফুটবলে ঝড় তোলেন এই স্ট্রাইকার। লিগে ৩৭ ম্যাচে জালের দেখা পান ৩৬ বার। ভেঙে দেন ৩৮ ম্যাচের লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। সতীর্থদের দিয়ে করান ৮ গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১১ ম্যাচে সবোর্চ্চ ১২ গোল করেছেন নরওয়ের এই তারকা, এছাড়াও লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী আর দ্রুততম খেলোয়াড় হিসেবে ৩৫ গোল হলান্ডের।
জাগরণ/খেলা/ফুটবল/এমএ