১৭ বছর বয়সেই ইউরোপিয়ান ফুটবল লিগে খেলার হাতছানি বাংলাদেশের এক তরুণের সামনে। নাম তার মিরাজুল ইসলাম।
বাফুফে এলিট অ্যাকাডেমির এই ফুটবলার এরই মধ্যে প্রাথমিক সাইনিংও সেরে ফেলেছেন ইউরোপিয়ান ফুটবল এজেন্টের সঙ্গে। সব কিছু ঠিক থাকলে মিরাজই হতে যাচ্ছেন বাফুফের বাগানের প্রথম বিদেশি ফুল।
কঠোর পরিশ্রম, লক্ষ্য অবিচল। বিন্দু থেকে সিন্ধু হওয়ার স্বপ্ন বাড়ায় মনোবল। ওই প্রবল ইচ্ছা শক্তিতেই বাফুফের এলিট একাডেমি থেকে ইউরোপের ক্লাবে খেলার হাতছানি মিরাজুল ইসলামের সামনে।
এরই মধ্যে সাইনিংও করে গেছে ফুটবল এজেন্ট। মাত্র ১৭ বছর বয়সে কীভাবে পেলেন এমন প্রস্তাব। মিরাজ গল্পের ঝাঁপি খুলে বসলেন।
মিরাজ জানান, সাফ নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। বলেন, যুক্তরাজ্যের ফুটবল এজেন্ট পলই তাকে সুযোগ করে দিয়েছেন।
মূলত মাস তিনেক আগে যুক্তরাজ্যের এক ফুটবল এজেন্ট পছন্দ করে মিরাজকে। বাফুফের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে থাইল্যান্ডের একটি ক্লাবে তিন মাসের ট্রেনিংয়ে অংশ নিবে। সেখানে ভালো করলেই ইউরোপের তিন দেশের যে কোনো একটিতে ডিভিশনাল ক্লাবে খেলতে পারবে পিরোজপুরের এই ওয়ান্ডার কিড!
২৬ আগস্ট। বাফুফে এলিট অ্যাকাডেমির ফুটবলারদের জন্য ঐতিহাসিক দিন। সেদিনই অ্যাকাডেমির ৮ ফুটবলারকে ওঠানো হবে নিলামে। বিপিএলের ক্লাবগুলোতে খেলার সুযোগ হবে তাদের। মিরাজ সেই নিলামে নিশ্চিতভাবেই হট কেক। বিপিএলের কোনো ক্লাব তাকে কিনলেও, ইউরোপে খেলতে যাবার অনুমতি দিতে হবে- এমন শর্তই জুড়ে দেয়া হচ্ছে। জানালেন এলিট অ্যাকাডেমি গড়ার অত্যন্ত এই নেপথ্য কারিগর।
প্রতিষ্ঠার মাত্র দুই বছরের মাথায় এলিট অ্যাকাডেমির বাগানের ফুলরা যেভাবে শোভা ছড়াচ্ছে । তাতে আগামীতে মিরাজদের পথে হাঁটবেন অনেকেই। এমন দিনের জন্য অপেক্ষা তো করাই যায়।
জাগরণ/খেলা/ফুটবল/কেএপি