• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৪, ১২:২০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৬, ২০২৪, ১২:২০ এএম

অলিম্পিকে ডিমের সংকটে পড়েছেন অ্যাথলেটরা

অলিম্পিকে ডিমের সংকটে পড়েছেন অ্যাথলেটরা
ছবি ● প্রতীকী

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসরে কিনা পড়ছে খাবারের সংকট! সংবাদসংস্থা বিবিসি জানাচ্ছে, প্যারিস অলিম্পিকের অলিম্পিক ভিলেজে খাবারের সংকটের অভিযোগ জানিয়েছেন কয়েকজন অ্যাথলেট।

ফরাসি ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদপত্র লে’কিপ-কে সূত্র হিসেবে জানিয়ে বিবিসি লিখেছে, অ্যাথলেটরা মূলত কয়েকটি খাবারের আইটেমের পরিমাণ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। এর মধ্যে ডিমের কথাই আসছে সবার আগে। অ্যাথলেটদের অভিযোগ, গতকাল বুধবার সকালে নাশতায় ডিমের বরাদ্দ নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছিল। এর বাইরে গ্রিলড মাংসও পরিমাণে যথাযথভাবে না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

অলিম্পিক ভিলেজে খাবার সরবরাহের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠান সোডেক্সো লাইভ এ নিয়ে বলেছে, কিছু কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে চাহিদাটা ‘অনেক বেশি।’ অ্যাথলেটদের চাহিদা পূরণে সরবরাহের পরিমাণও শিগগিরই বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিবিসি জানাচ্ছে, অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক গেমসের সময়ে অলিম্পিক ভিলেজে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ‘মিল’ সরবরাহ করার প্রয়োজন পড়ে। অলিম্পিক ভিলেজে সতেজ খাবার সরবরাহ করার দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠান কেয়ারফোর গ্রুপের মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘প্রাথমিক পরিকল্পনায় যা ছিল তার চেয়ে বেশি (খাবার) লাগতে পারে বলে পরিকল্পনা বদলাতে অনুরোধ করা হয়েছে, এই গ্রুপ সেটিও সরবরাহ করতে পারবে।’

অলিম্পিকে ২০৮টি দেশের প্রায় ১৫ হাজার অ্যাথলেট আছেন। এর পাশাপাশি অ্যাথলেটদের সাপোর্ট টিম, কর্মকর্তা ও ভলান্টিয়াররা তো আছেনই। এত মানুষের খাবার সরবরাহ করা চাট্টিখানি কথা নয়।

অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক – দুটি আয়োজনই চলে ১৫ দিনের মতো। এ সময়ে যে ১ কোটি ৩০ লাখ ‘মিল’ সরবরাহ করার প্রয়োজন পড়ে, সেটি ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর ফুটবল বিশ্বকাপের দশটি আসরের মিলিত ‘মিল’-এর সমান বলে ধারণা করা হয়।

প্যারিস অলিম্পিকে অ্যাথলেটদের ফ্রেঞ্চ, এশিয়ান, আফ্রো-ক্যারিবিয়ান ও ওয়ার্ল্ড কুইজিনে খাবার সরবরাহ করা হয়, সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০টি ভিন্ন রেসিপিতে অ্যাথলেটদের স্বাদের ভিন্নতার দাবি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

খাবারের মানের ক্ষেত্রেও কঠোর দিকনির্দেশনা মেনে চলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিসিবি। চার বছর ধরে এ নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে খাবারের মানের পাশাপাশি গেমসের খাদ্য তৈরিতে নিঃসরিত কার্বনের পরিমাণও ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকের তুলনায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা যায়।

এ পরিকল্পনার কারণেই গেমসের খাবারের উপকরণগুলো আনা হচ্ছে অলিম্পিক ভিলেজের ২৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্য থেকে, উপকরণগুলোর ২০ শতাংশ অর্গানিক। সকল মাংস, দুধ ও ডিম আনা হচ্ছে ফ্রান্সের মধ্য থেকেই, খাবারের এক-তৃতীয়াংশই উদ্ভিজ্য।

গেমসের ভিলেজজুড়ে পানি, জুস ও সোডা সরবরাহ করার জন্য ২০০ ফাউন্টেন বসানো হয়েছে। যে কাপ ও ক্রোকারিজ ব্যবহৃত হচ্ছে, সেগুলোও পুনঃব্যবহারযোগ্য।

জাগরণ/খেলা/প্যারিসঅলিম্পিক/এমএ