যদি কোথাও ঘুরতে গিয়ে উপহার পাওয়া যায় তবে তো মন্দ কি। সেই উপহার যদি হয় নগদ ইউরো! তবে তো সোনায় সোহাগা।
করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেরই পকেট ফাঁকা। ভ্রমণপিপাসুদের ইচ্ছে থাকা শর্তেও ঘুরে বেড়াতে পারছেন না। একে তো পকেট ফাঁকা, এর মধ্যে করোনার বিধিনিষেধ দুইয়ের জ্বালায় জর্জ্জরিত পর্যটকরা।
সারা বিশ্বের পর্যটন ব্যবসা যখন প্রায় থমকে গেছে, তা চাঙা করতে লোভনীয় অফার দিয়েছে ভূমধ্যসাগরের মাঝে অবস্থিত এক ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টা। দেশটির প্রশাসনের এই পদক্ষেপ নজিরবিহীন বলেও সম্মোধন করছেন বিশ্লেষকরা।
নীল জলরাশি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে চোখ জুড়ানো দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টা। প্রতিবছরই সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকরা পাড়ি জমিয়েছেন এই দ্বীপে। করোনার পরিস্থিতির আগেও লোকারণ্যে বেশ সরগরম ছিল। সেই পর্যটকদের আবারও আকৃষ্ট করতে নগদ টাকা উপহার দিয়ে অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছে এই দ্বীপের সরকার।
অবাক হচ্ছেন! এটাই সত্যি। ওই দ্বীপে বেড়াতে গেলেই পাচ্ছেন নগদ টাকা উপহার।
ভূমধ্যসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টা সরকার ঘোষণা করেছে, এই গ্রীষ্মে সেই দেশে বেড়াতে গেলেই পর্যটকরা মাথাপিছু পাচ্ছেন ২০০ ইউরো উপহার। যা বাংলাদেশি টাকার হিসাবে প্রায় ২০ হাজার ৪৪৫।
তবে শর্ত হচ্ছে, পর্যটকদের অন্তত তিন দিন সেখানে থাকতে হবে এবং অবশ্যই বিদেশি পর্যটকরাই শুধু পাচ্ছেন উপহার।
দেশটির পর্যটনমন্ত্রী ক্লেটন বার্তোলো বলেন, “আগামী ১ জুনের মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রের বেশির ভাগ কোভিড বিধি উঠে যাবে। পর্যটকদের জন্যও খুলে দেওয়া হবে। বিদেশি পর্যটকরা গরমের ছুটি কাটানোর জন্য স্থানীয় হোটেল বুকিং করতে পারবেন। তাদেরকেই নগদ ইউরো উপহার দেওয়া হবে।”
পাঁচতারা হোটেল বুকিংয়ে মাল্টার পর্যটন দপ্তর পর্যটকদের ১০০ ইউরো উপহার দেবে। আর বাকি ১০০ ইউরো দেবে বুকিং করা সেই হোটেল।
চারতারা হোটেল বুকিং করলে পর্যটকরা পাবেন ১৫০ ইউরো। তিনতারা হোটেল বুকিংয়ে পাবেন ১০০ ইউরো। এছাড়া মাল্টার খুদে দ্বীপ গোজোর হোটেলে ছুটি কাটালে পর্যটকরা আবার ১০ শতাংশ বেশি টাকা পাবেন।